
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই আট মাসে ৬৮৮ জন প্রসূতি মায়ের নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন হয়েছে।
শুধু উপজেলাবাসীরই নয় বরং প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই হাসপাতালটি এখন নরমাল ডেলিভারিতে ভরসা হয়ে উঠেছে পার্শ্ববর্তী উপজেলার মানুষেরও।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ বলছেন, ডাক্তারদের পরামর্শে সফলভাবে নরমাল ডেলিভারি করাচ্ছেন নার্স-মিডওয়াইফরা। এছাড়াও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোতে আগত সেবাগ্রহীতাদের গর্ভকালীন স্বাস্থ্য সেবা, মা ও শিশুর পুষ্টি, গর্ভকালীন বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম এবং নরমাল ডেলিভারি করানোর জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। ফলে নিয়মিতই নরমাল ডেলিভারির জন্য হাসপাতালে আসছেন প্রসূতিরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারীতে ১২৪ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১০৬ জন, মার্চে ৯৯ জন, এপ্রিলে ৯৩ জন, মে মাসে ৭৪ জন, জুনে ৫০ জন, জুলাইয়ে ৭৪ এবং আগস্টে ৬৮ জন প্রসূতির নরমাল ডেলিভারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও প্রসব পূর্ববর্তী এএনসি সেবা নিয়েছেন ৮ হাজার ৪৬ জন গর্ভবতী মা ও প্রসব পরবর্তী পিএনসি সেবা নিয়েছেন ১ হাজার ৮৯ জন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আসা কয়েকজন রোগীর স্বজনরা বলেন, এই উপজেলার অধিকাংশ মানুষ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত। এজন্য আমাদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য একমাত্র ভরসা এই হাসপাতাল।
হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারি হওয়া উপজেলার ভেড়ভেড়ি ইউনিয়নের প্রসূতি আফসানা বেগম বলেন, প্রথমদিকে হাসপাতালে এসে ডেলিভারি করাবো কি না এটা নিয়ে সংশয়ে ছিলাম। কেননা অনেকেই বেসরকারি ক্লিনিকে গিয়ে সন্তান প্রসবের পরামর্শ দিচ্ছিলেন। কিন্তু হাসপাতালে এসে চিকিৎসক, নার্স ও মিডওয়াইফদের সহযোগিতায় বিনা খরচে সন্তান প্রসব করেছি। বর্তমানে আমি এবং আমার সন্তান দুজনেই ভাল আছি।
আরেক প্রসূতি সাথী রায় বলেন, আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের একমাত্র জায়গা এই হাসপাতাল। খুব ভালোভাবে আমার ডেলিভারি সম্পন্ন হয়েছে। গর্ভকালীন সময়েও আমি হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় সেবা পেয়েছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত মিডওয়াইফ রুনা লায়লা বলেন, আমরা সবসময় প্রসূতি মায়েদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকি। সকল প্রসূতিকে সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসব করানোই আমাদের লক্ষ্য।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সামসুদ্দোহা মুকুল বলেন, হাসপাতালে কর্মরত একদল নার্স ও মিডওয়াইফদের প্রচেষ্টায় প্রতিনিয়ত স্বাভাবিক সন্তান প্রসব সফলভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। উপজেলার মানুষ এখন অনেক সচেতন হচ্ছে যার ফলে হোম ডেলিভারি কিংবা অপ্রয়োজনীয় সিজারের দিকে না ঝুঁকে হাসপাতালমুখী হচ্ছেন।
বিবার্তা/জামান/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]