
বান্দরবান জেলার লামা পৌরসভা এলাকার কলিঙ্গাবিল-লাইনঝিরি সড়কের একটি অংশ মাতামুহুরী নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ের প্রবল বর্ষণে নদীর পানি বেড়ে গেলে স্রোতের টানে সড়কটির অংশ বিশেষ বিলীন হয়ে যায়। এতে সড়ক দিয়ে
যান চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বর্তমানেও এ সড়ক ভাঙন অব্যাহত থাকায় নদী পাড়ের বসতিগুলো ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন। নদী ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন নদীপাড়ের মানুষেরা।
সূত্র জানায়, কলিঙ্গাবিল-লাইনঝিরি সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ের একটানা ১০-১২ দিনের প্রবল বর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে মাতামুহুরী নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। এতে স্রোতের টানে সড়কের রুহুল আমিনের বাড়ি সংলগ্ন স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। কয়েকদিনে সড়কের ১০০-১২০ ফুটের অংশ নদীতে ধসে পড়ে।
নদী পাড়ের বাসিন্দা নাজমুল হোসেন নিপুল, জাহাঙ্গীর ও সুমন জানায়, সড়কের একাংশ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানেও এ সড়ক ভাঙন অব্যাহত আছে।
নদীতে সড়ক ধসে পড়ে যান চলাচল বন্ধের সত্যতা নিশ্চিত করে লামা পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মমতাজ উদ্দিন জানান, এখনই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে চলতি বর্ষা মৌসুমেই সড়কসহ পুরো গ্রাম নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নদীভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের হস্তক্ষেপ কামনাও করেন তিনি।
এ বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌং বলেন, ভাঙ্গনে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে কলিঙ্গাবিল-লাইনঝিরি সড়কের একটি অংশ।
সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীসহ সরেজমিনে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসও দিয়েছেন।
বিবার্তা/আরমান/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]