
গত ৪ আগস্ট কুড়িগ্রামের জেলা শহরে কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাথায় আঘাত পেয়ে ২৮ দিন চিকিৎসার পর রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজে মৃত্যু হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী আশিক বাবুুর।
এদিন তার লাশ ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে শুরু হয় শোকের মাতম। পরে জানাজা শেষে সোমবার দুপুরে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয় আশিককে।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস ছালাম জানান, আশিক খুব ভালো ছেলে ছিল। তারা দুই ভাই মিলে বাড়ি থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কুড়িগ্রামে গিয়ে দুভাই আহত হন। ছোট ভাই আতিকুর সুস্থ হলেও বড় ভাই আশিক মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে প্রথমে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও পরে রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসা নেয়। সেখানে কয়েকদিন চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আশিকের। আমরা তার হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে বিচার দাবি করছি।
নিহত আশিকের বাবা মো: চাঁদ মিয়া জানান, আমার দুই ছেলে, দুই মেয়ে। কোটাবিরোধী আন্দোলনে দুই ছেলে যোগ দিয়ে আহত হয়। ছোট ছেলে সুস্থ হলেও বড় ছেলে মারা গেছে। আমার আশা ভরসা সব শেষ। আমি কার কাছে বিচার চাবো।
আশিকের হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীসহ স্বজনদের। আর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ আশিকের স্মৃতি ধরে রাখতে তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩ দিনের শোকসহ স্মৃতিফলক স্থাপনের কথা জানায় অধ্যক্ষ।
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার পাঁচপীর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ অজয় কুমার সরকার জানান, পাঁচপীর ডিগ্রি কলেজের ছাত্র আশিকের মরদেহ কুড়িগ্রামে পৌঁছানোর পর প্রথমে মহীদ মিনার ও পরে পাঁচপীর কলেজ মাঠে জানাজা পড়ানো হয়। সর্বশেষ তার গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে দাফন করা হয়। আমরা কলেজ থেকে আশিকের মৃত্যুতে ৩ দিনের শোক ঘোষণা করেছি। পাশাপাশি শহিদ আশিকের স্মৃতি ধরে রাখতে স্মৃতিফলক তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিবার্তা/বিপ্লব/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]