
পাবনার ঈশ্বরদীতে মুক্তিপণের ১০ লাখ টাকা না পেয়ে সিরাজুল ইসলাম (৬৫) নামে এক বৃদ্ধকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।
৩১ আগস্ট, শনিবার সকালে ঈশ্বরদী পৌর শহরের রহিমপুর গোরস্তান সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসায় তার মৃতদেহের সন্ধান পাওয়া যায়।
নিহত সিরাজুল ইসলাম উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কৈকুন্ডা গ্রামের মৃত জলিল ফকিরের ছেলে ও রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নিরাপত্তা কর্মী ছিলেন।
নিহতের ছেলে আল আমিন হোসেন জানান, গত ২৪ আগস্টে রাতে ডিউটি শেষ করে তার বাবা আর বাড়ি ফেরেনি। পরে তার বাবার মুঠো ফোন থেকে কল দিয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ে অপহরণের কথা বলে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা না দিলে তার বাবাকে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হবে বলেও জানান অপহরণকারীরা। পরের দিন পরিবারের স্বজনদের সাথে পরামর্শ করে ঈশ্বরদী থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন তিনি।
এদিকে যে বাসায় সিরাজুল ইসলামের মৃতদেহ পাওয়া গেছে সেই ভাড়া বাসার মালিক বলবুল হোসেন জানান, গত ২২ আগস্টে অজ্ঞাত দুজন স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নেন। একদিন পর ২৪ আগস্ট আমি তাদের বাসায় গিয়ে অগ্রিম ভাড়া বাবদ ৪ হাজার টাকা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নিয়ে আসি। এরপর গত ২৮ তারিখ থেকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দেওয়া ঐ দম্পতি নিখোঁজ হয়ে যায়। শুক্রবার রাতে ঐ ভাড়াটিয়ার রুম থেকে দুর্গন্ধ আশেপাশে ছড়িয়ে পড়লে শনিবার সকালে স্থানীয়দের পরামর্শে পুলিশে খবর দেই। পরে পুলিশ এসে নিহতের লাশ শনাক্ত করে।
জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য মতে ঐ ভাড়াটিয়া শাজাহান আলী উপজেলার বড়ইচারা (তেতুলতলা) গ্রামের আজিবর রহমানের ছেলে।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, নিহত সিরাজুলের নিখোঁজ হওয়ার পরপরই পুলিশ তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তদন্তে নেমেছিলো। কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য না থাকায় তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয় নি। আজ সকালে অজ্ঞাত একজনের লাশের সন্ধান পাওয়ার খবরে ঘটনাস্থলে এসে সিরাজুল ইসলামের লাশ শনাক্ত করা হয়। এ ঘটনার সাথে কারা জড়িত তা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত করে আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।
বিবার্তা/পলাশ/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]