
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও আখাউড়া উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরো উন্নতি হয়েছে। রবিবারও পানি কমেছে দুই উপজেলাতেই। কসবায় কিছু সড়কে পানি থাকলেও বেশিরভাগ জায়গার বাড়ি-ঘর থেকে পানি সরে গেছে। আখাউড়ায় বন্যার পানি না থাকলেও কিছু বাড়িতে জলাবদ্ধতার কারণে পানি দেখা যায়।
পানি শুকিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্যার ক্ষতচিহ্ন বের হচ্ছে। আখাউড়ার কেন্দুয়াই, রাজেন্দ্রপুর, খলাপাড়া, ইটনা, আইড়ল, কর্ণেল বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায় বেশি কিছু বাড়ি-ঘর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ভাসতে শুরু করেছে ডুবে যাওয়া জমি। তবে এসব জমিতে লাগানো বেশিরভাগ ধানের চারা একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। একই অবস্থা কসবা উপজেলাতেও।
এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে রবিবার বিকেল থেকে যাত্রী পারাপার শুরু হয়েছে। বন্যার কারণে যারা ভারতে কিংবা বাংলাদেশে আটকা পড়েছিলেনে তাদের ভিসা শেষ হয়ে থাকলেও বিশেষ বিবেচনায় যেতে দেওয়া হচ্ছে। তবে গাজীর বাজার এলাকায় সেতু ভাঙা থাকায় সহসাই আমদানি-রপ্তানি চালু করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস ভবন পানিতে ডুবে থাকায় গত চারদিন ধরে সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ ছিলো।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি জানান, এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। তবে কয়েকটি বাড়িতে জলাবদ্ধতা রয়েছে। জলবদ্ধতার কারণ নিরসন করে পানি সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
কসবার ইউএনও মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার বলেন, ‘এখানকার বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে চলেছে। তবে কিছু সড়কে এখনো পানি রয়ে গেছে। যে কারণে আশ্রয় কেন্দ্র থেকে লোকজন এখনই বাড়ি ফিরতে পারছেন না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে পর্যাপ্ত ত্রান বিতরণ হয়।
বিবার্তা/আকঞ্জি/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]