চট্টগ্রামে 'বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ভাবনা' শীর্ষক নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত
প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৪, ১৮:৪৮
চট্টগ্রামে 'বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ভাবনা' শীর্ষক নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত
চবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

চট্টগ্রামে ছাত্র-শিক্ষক, রাজনীতিবিদ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে রাষ্ট্র সংস্কার ও মেরামতের মাধ্যমে নতুন এক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে আয়োজিত হয়েছে 'বৈষম্যহীন রাষ্ট্রভাবনা' নাগরিক সংলাপ।


১৭ আগস্ট, শনিবার চট্টগ্রামের জিইসিতে এক রেস্টুরেন্টে সমাজ ও রাষ্ট্রচিন্তা কেন্দ্র (Centre for Social and Political Thought, সিএসপিটি) এর উদ্যোগে এই নাগরিক সংলাপের আয়োজন করা হয়েছে।


এ সময় বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকর ভূমিকায় করণীয়, দেশের অর্থনীতিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়াসহ জাতীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে বিরাজনীতিকরণ করে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে মতামত ব্যক্ত করা হয়।


এতে অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আগস্ট বিপ্লবের নায়ক যেমন ছাত্ররা তেমন আমরাও৷ বিপ্লব এখনো শেষ হয়নি আমাদেরকে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে নইলে তারা আবার আমাদের উপর চেপে বসবে। আমাদের সংবিধান এবং নিয়মের মধ্যে থেকে সকল কাজ করতে হবে।


এছাড়া মানবাধিকার ও গণতন্ত্র বিষয়ে চবি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমরা উন্নয়নের অনেক গালগল্প করেছি। মানবাধিকারের গুরুত্ব দেইনি। আমাদের গণতন্ত্রকে শেষ করা হয়ছে। আমরা দেখেছি কিভাবে আবু সাইদকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা অধিকার আদায়ের জন্য ৩ বার স্বাধীন হয়েছি৷ ২৪ এর স্বাধীনতা হচ্ছে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করার স্বাধীনতা৷ এই রাষ্ট্রের বৈষম্য দূর করতে হলে সবার আগে মানবিকতার নিশ্চিত করতে হবে।


শিক্ষানীতি নিয়ে চবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শহিদুল হক বলেন, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় রন্ধ্রে রন্ধ্রে সমস্যা। ১১-১২ বছরে যৌনশিক্ষার অবাধ জানাশুনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিবর্তনবাদ, ট্রানজিন্ডার, এখানে সংযোজন করা হয়। এ ছাড়া ধর্ম শিক্ষায় কে উপেক্ষা করা হয়েছে সব সময়। প্রস্তাবনা, কলাম, বক্তৃতার মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি তুলে ধরতে হবে। দেশের বৈশ্বিক শক্তির প্রভাব যাতে বৃদ্ধি না পায় সে বিষয়ে নিয়মিত লেখালেখি করতে হবে।


বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন, দেশের সকল স্থান থেকে দুর্নীতি রোধ করতে পারলেই আমরা একটি সুন্দর দেশ গড়ে তুলতে পারবো। বাংলাদেশের সব দল, মতের সকলকে আহ্বান করবো আপনারা দেশ সংস্কার করার জন্য যে সময়টুকু প্রয়োজন তা আমাদের এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দিবেন।


এছাড়াও সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী বলেন, নিজের নেতাদের কাছ থেকে সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার আছে সব নাগরিকের এবং এটাও জনগণের মৌলিক অধিকার। আমাদের দেশের কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা একাকী কোনো দলের বা গোষ্ঠীর পক্ষে সম্ভব না। এ জন্য সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। যারা একসঙ্গে কাজ করবে তাদের সামনেই রয়েছে সুন্দর ভবিষ্যৎ।


সংলাপে অর্থনৈতিক সংকট ও বৈষম্য নিয়ে বক্তব্য রাখেন চবি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, উচ্চশিক্ষা নিয়ে অধ্যাপক রিজওয়ানুল হক এবং সরকার অফিস ও নাগরিক সেবা নিয়ে বক্তব্য রাখেন লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মমতাজউদ্দিন আহমেদ।


সিএসপিটি'র পরিচালক অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে প্যানেল আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. আমীর নসরুল্লাহ মার্কেটিং বিভাগের ড. মো. ফুয়াদ হাসান, চবি লোক প্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন এবং দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হক।
এছাড়াও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থীরাও এতে বক্তব্য রাখেন।


বিবার্তা/মহসিন/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com