কক্সবাজারে পাহাড়ি ঢলে ভেসে গিয়ে শিশুর মৃত্যু, ২০০ গ্রাম প্লাবিত
প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২৪, ২০:৫৫
কক্সবাজারে পাহাড়ি ঢলে ভেসে গিয়ে শিশুর মৃত্যু, ২০০ গ্রাম প্লাবিত
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারের ৭ উপজেলার ২০০ গ্রামে বন্যা দেখা দিয়েছে। নদী ও খালের বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকেছে।


পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডুবে রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের সমিতি পাড়া গ্রামের ইমাম হোসেনের ছেলে ইসফাম নামে ৮ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।


কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের চেইন্দা এলাকা দিয়ে হাঁটু পরিমাণ বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। এতে করে যানবাহন চলাচল ব্যহত হচ্ছে। এ ছাড়া চকরিয়া মানিকপুর সড়ক, রামু নাইকংছড়ি সড়ক সহ জেলার বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক সড়কে বন্যার পানি উপচে পড়ায় যানবাহন চলাচল ব্যহত হচ্ছে।


জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলার উখিয়া, টেকনাফ চকরিয়া, পেকুয়া, রামু সদর উপজেলার শতাধিক গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এতে এসব এলাকার দেড় লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। মাতামুহুরী ও বাকখালী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঘর বাড়িতে পানি ডুকে যাওয়ায় অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্র চলে গেছে।


পাহাড়ি ঢলের তোড়ে মাতামুহুরী ও বাকখালী নদীর কমপক্ষে ১০টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। ভাঙন দিয়ে লোকালয়ে ঢলের পানি ঢুকে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। মাতামুহুরি নদীর দুপারের ৫টি ইউনিয়নে পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকে পড়ে কয়েক হাজার বাড়ি ঘর প্লাবিত হয়েছে।


বাকখালী নদীর তীরবর্তী রামু ও সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়নের ৭০ হাজার বাসিন্দা পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। এছাড়া কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়া সহ ১ নম্বর ওয়ার্ডে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে ৫ শত বাড়ি ঘর।


উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়ন ও টেকনাফ ইউনিয়নের হ্নীলা ও হোয়াইকং ইউনিয়নের ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।


এদিকে বৈরি আবহাওয়ার কারণে কয়েকদিন ধরে সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। এতে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষেও জেলেরা মাছ ধরতে সাগরে নামতে না পেরে কর্মহীন হয়ে পড়েছে। কক্সবাজারে আগামী শনিবার পর্যন্ত অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসময় পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে।


কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে জেলার বেশকিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রয়োজনীয় ত্রাণ ও অর্থ সাহায্য দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।


জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জেলার বন্যাকবলিত ৭ উপজেলায় ৪২ মেট্রিক টন চাল ও ৫ লাখ টাকা নগদ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ৩২ হাজার মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।


বিবার্তা/ফরহাদ/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com