ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কুষ্টিয়ার পোড়াদহের কাপড়ের হাটে পাইকারি ও খুচরা বেচাকেনা। কিন্তু সে চিত্র এবার বদলেছে। বেচাকেনা না থাকায় অলস সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা। একই চিত্র কুষ্টিয়ার অন্যান্য পোশাকের মাকেটেও।
ঈদ আসলেই ক্রেতারা পছন্দের পোশাকটি সাশ্রয়ী মূল্যে কিনতে ছুটে যান পোড়াদহের কাপড়ের হাটে। ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়ে এখানকার ব্যবসায়ীদের দম ফেলার সময় থাকেনা। প্রতি সপ্তাহে বেচাকেনার পরিমাণ ১৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু এবারের চিত্র পুরো উল্টো। বেচাকেনা না থাকায় অলস সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা।
শুধু পোড়াদহের কাপড়ের হাটে নয়, একই চিত্র কুষ্টিয়ার সব পোশাকের মার্কেটে। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন নিত্য খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় তার যোগান দিতে সাধারণ মানুষকে হিমসিম খেতে হচ্ছে। তাই ইচ্ছা থাাকলেও পোশাকের দোকানে যেতে অনীহা রয়েছে তাদের।
পোড়াদহ কাপড়ের হাটের ব্যবসায়ী নেতা মো. মাসুদুর রহমান বলেন, যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের কাপড় ব্যবসায়ীদের বিশেষ পছন্দের মোকাম এই পোড়াদহ। তাই বছরের সবসময় এ হাটের কদর থাকে। তবে এবারের কোরবানীর ঈদের চিত্র ভিন্ন। বেচা বিক্রি নেই বললেই চলে। শুয়ে বসে মোবাইল ফোনে অলস সময় পার করতে হচ্ছে।
দুই একজন ক্রেতা পোশাকের দোকানে পছন্দের পোশাকটি কিনতে গিয়েও পকেট হাতড়াতে হচ্ছে তাদের। তাদের দাবি সব পণ্যের দাম বেড়েছে, শুধু তাদের বাড়েনি আয়। তাই পরিবারের সদস্যদের নতুন পোশাক কিনে দিতে না পারারও যাতনা রয়েছে মনে। এমনটি জানিয়েছেন আশরাফ হোসেন নামে এক ক্রেতা।
ধারদেনা করে ব্যবসা পরিচালনা করা হয়। এবারের ঈদুল আযহায় বেচাকেনা না থাকায় দেনা শোধ করা দায় হয়ে যাবে। তারুল্য সংকটের কারণে এমন অবস্থা বলে মনে করেন ভেড়ামারা বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফয়জুল ইসলাম মিলন।
ঈদ মানে আনন্দ। আর সে আনন্দের বাড়তি মাত্রা যোগ হয় নতুন পোশাকে। কিন্তু এবারের ঈদে সে আনন্দে থাকছে ঘাটতি। এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিবার্তা/শরীফুল/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]