চুয়াডাঙ্গায় এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত চেয়ারম্যানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

২৮ মে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা -জীবননগর আঞ্চলিক মহাসড়কের আকন্দবাড়িয়ায় আবাসন এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহত ইউপি চেয়ারম্যানের নাম আব্দুল হান্নান (৬৫)। চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে দর্শনা থেকে নিজ মোটরসাইকেল যোগে সন্তোষপুর বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। পথিমধ্যে আকন্দবাড়িয়া আবাসনের সামনে পৌঁছালে একই দিক থেকে মোটরসাইকেল যোগে আসা হেলমেট পরিহিত দুজন ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি পিঠে কয়েকটি কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়।

তিনি সেই অবস্থায় মোটরসাইকেল চালিয়ে উথলী ইউনিয়ন পরিষদে চলে আসেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ইউপি চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাকে নেয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা বক্ষব্যাধী হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

এ প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সার্জারি কনসালটেন্ট ডা. এহসানুল হক তন্ময় বলেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পিঠের বাম পাশে ফুসফুসে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় শরীরে রক্ত দিতে হয়েছে। শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।

জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গার জেলা পুলিশ সুপার আরএম ফয়জুর রহমান বলেন, ঘটনার বিবরণ শুনে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলা চালানো হতে পারে। ঘটনার পরপরই দুর্বৃত্তদের আটক করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়িতে ফেরার সময় উথলী এলাকায় দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন তিনি।

বিবার্তা/আসিম/সউদ