
সিংগাইরে টাকা দিয়ে এক বছর অপেক্ষার পরও মিলেনি গর্ভবতী মায়ের মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড। তারপরেও আরো অতিরিক্ত অর্থ দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউপি সচিব ও মেম্বারের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্তরা হচ্ছেন, মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়ন পরিষদ সচিব সেলিম মোল্লা ও ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার আজাদ।
২১ মে, মঙ্গলবার ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে ওই ইউনিয়নের আটকুড়িয়া গ্রামের সুজন টিকাদার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১ বছর আগে আটকুড়িয়া গ্রামের গর্ভবতী ঝুমা সরকার (২২) মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য আবেদন করেন। এরপর তার দেবর সুজন টিকাদারকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে আজাদ মেম্বার ৩ হাজার টাকা ও পরবর্তীতে ইউপি সচিব সেলিম মোল্লা ২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
সর্বশেষ গত মঙ্গলবার (২০ মে) ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে ইউপি সচিব সেলিম মোল্লার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কার্ড পেতে আরো ৭-৮ মাস সময় লাগবে বলে জানান।
অভিযোগকারী সুজন টিকাদার বলেন, সচিব সেলিম মোল্লা ও আজাদ মেম্বার আমার গর্ভবতী ভাবির কার্ড প্রদান না করে ৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এসময় জড়িতদের বিচার দাবি করেন তিনি।
ইউপি সচিব সেলিম মোল্লা বলেন, গত ডিসেম্বর মাসে যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে তার মাতৃত্বকালীন কার্ড চূড়ান্ত হয়েছে। কার্ড দেয়ার নামে কোনো টাকা পয়সা নেয়া হয়নি।
আজাদ মেম্বার বলেন, গর্ভবতীর কার্ডের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ কুমার বসু বলেন, অভিযোগের কপি আমার কাছে এখনো আসেনি। গর্ভকালীন ভাতার কার্ড দেয়ার নামে টাকা নেয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিবার্তা/হাবিবুর/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]