
ঈদুল ফিতর এবং পহেলা বৈশাখ- টানা ছুটির কারণে ধারণা হচ্ছে অন্য বছরের তুলনায় এবার গ্রামের বাড়িতে ঈদ উদযাপনকারীদের সংখ্যা বেশি। ঈদ যাত্রায় তুলনামূলকভাবে ভোগান্তিও কম ছিল। কিন্তু আরও দুই দিনের ছুটি অবশিষ্ট থাকলেও ঈদের দ্বিতীয় দিনেই ঢাকা ফিরতে শুরু করেছেন অনেকেই। জানা গেছে, ঈদের পর ভিড় এড়াতেই ঢাকা ফিরেছেন তারা।
কর্মজীবীদের অনেকে যেমন ঈদের দ্বিতীয় দিনেই ঢাকা ফিরে আসছেন, তেমনই ঈদ-পরবর্তী আনন্দ আপনজনের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে অনেকে ঢাকা ছেড়ে গ্রামেও যাচ্ছেন। তবে ঢাকা ফেরা কর্মজীবীদের চেয়ে গ্রামের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করা কর্মজীবীদের সংখ্যাই বেশি।
১২ এপ্রিল, শুক্রবার সকাল থেকে ট্রেন, বাস ও বাস টার্মিনালে ঢাকা ছাড়তে উদ্গ্রীব কর্মজীবীদের ভিড় চোখে পড়েছে। আবার দুপুরের পর থেকে অনেককে ঢাকা ফিরতেও দেখা গেছে। তবে ঢাকামুখী স্রোত এখনও পুরোপুরি শুরু হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা জানান, আগামী দুই দিন ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বাড়তে পারে।
সকালে রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে যাত্রীরা ভিড় করেছেন। তারা জানিয়েছেন, বিভিন্ন কারণে ঈদে বাড়ি ফিরতে না পারলেও পরদিন যাচ্ছেন স্বজনদের সঙ্গে ঈদ-পরবর্তী আনন্দ ভাগাভাগি করতে। আগামীকালও অনেকের ঢাকা ছাড়ার কথা আছে বলে জানিয়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
এবার শবে কদর, ঈদুল ফিতর এবং পয়লা বৈশাখসহ সাপ্তাহিক ছুটি একসঙ্গে হওয়ায় লম্বা ছুটি পান কর্মজীবীরা। ঈদ উপলক্ষে ১০ এপ্রিল থেকে সরকারি ছুটি শুরু হয়। কিন্তু গেল সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকেই মানুষ ঢাকা ছাড়তে শুরু করেন। এরপর শুক্র ও শনিবার দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি। মাঝে রবিবার পবিত্র শবে কদরের ছুটি ছিল। সোম ও মঙ্গলবার সরকার ঐচ্ছিক ছুটির সুযোগ দেয়। ঈদের ছুটি ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল। এর পরদিন অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। আবার পরদিন রবিবার পয়লা বৈশাখের ছুটি। এতে দীর্ঘ ছুটির ফাঁদে পড়ে দেশ।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]