
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের হতদরিদ্র ১৬শ ৮৩ জন কার্ডধারীদের মাঝে সরকারের দেওয়া ভিজিএফের চাল ১০ কেজি করে বিতরণ করা হয়।
তবে ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান এর বিরুদ্ধে অর্ধশত হতদরিদ্র কার্ডধারীদের ভিজিএফের চাউল না দিয়ে পরিষদ থেকে বেড় করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও চেয়ারম্যান বলছে কার্ড না থাকা শতাধিক অসহায়কে চাল দেওয়ায় ফুরিয়ে গেছে চাল। যারা চাল পাইনি নাম লেখে রাখা হয়েছে পরবর্তীতে দেওয়া হবে।
যদিও নিয়ম অনুযায়ী ভিজিএফ কার্ডের মাস্টার রোল তৈরি না করে নিজেদের তৈরি মনগড়া কাগজে নাম লিখে চাল বিতরণ করার সুযোগ নেই।
মৌরাট ইউনিয়নের বড় চৌবাড়ীয়া গ্রামের বিধবা আলেয়া বেগম আক্ষেপ করে বলেন, গরমের মধ্যে রোজা থেকে দুপুর ২টার দিকে কার্ড নিয়ে গেছিলাম। চেয়ারম্যান কার্ড রেখে আমাকে বেড় করে দিয়েছেন। তিনি বলেন এখন আর চাউল নাই। সময় মতো না আসলে চাউল থাকে?
মৌরাট ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ভ্যান চালক নাছির বলেন, কাজ শেষ করে ৩টার দিকে চাউল আনতে গেছিলাম। আমার সাথে আরও ৩ জন ছিল। চাউল আর নাই বলে আমাদের কার্ড রেখে চলে যেতে বলেন চেয়ারম্যান।
মৌরাট ইউনিয়ন মো: হাবিবুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সকাল থেকে চাউল দেওয়া শুরু করছিলাম। কার্ড না থাকা শতাধিক অসহায় কে চাউল দেওয়ায় চাউল ফুরিয়ে গেছে। এর ফলে ৪টার পরে যারা আসছে তারা চাউল পাইনি। কার্ড রেখে দিয়েছি। নিজের থেকে চাউল কিনে দিয়ে দেব।
পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন, আমি বিষয়টি জানি না। তবে চাউল ফুরিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নাই। চেয়ারম্যানের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী চাউল বরাদ্দ হয়। প্রকৃত কার্ডধারীরাই চাউল পাবে।
বিবার্তা/মিঠুন/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]