
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গরু চোরের উপদ্রব আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিরাতেই কোনো না কোনো এলাকায় হানা দিচ্ছে সংঘবদ্ধ চোরের দল। লাগাতার চুরির ঘটনায় খামারি ও কৃষকদের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাত জেগে পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছে গ্রামবাসী। চোর আতঙ্কে গরুর সঙ্গে গোয়াল ঘরে ঘুমাচ্ছেন গৃহস্থরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘবদ্ধ গরুচোরদের উপদ্রব বাড়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক ও খামারিরা। জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা ছাড়াও বিজয়নগর, নবীনগর, নাসিরনগরে অহরহ ঘটছে চুরির ঘটনা। কখনো রাতের আধারে আবার কখনো প্রকাশ্য দিবালোকে এসব চুরির ঘটনা ঘটছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও খামারিরা জানান, কৃষিকাজে ব্যবহারের জন্য কেউবা আসন্ন ঈদুল ফিতর ও কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে লাভের আশায় ধার-দেনা করে এসব গরু লালনপালন করে আসছেন। সংঘবদ্ধ চোরের দল প্রতিরাতেই কোনো না কোনো এলাকায় হানা দিচ্ছে। চোরের ভয়ে অনেক এলাকায় পালাক্রমে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন গ্রামবাসী। অনেকে আবার গরুর সঙ্গে গোয়াল ঘরে রাত কাটাচ্ছেন।
গত এক মাসে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক গরু চুরি হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা। চুরি হওয়া গরু অনেক সময় অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা গেলেও কখনো কখনো মিলছে জবাইকৃত মাংস।
গরু চোরের নেটওয়ার্ক সারা জেলায় বিস্তৃত উল্লেখ করে জনপ্রতিনিধি তাজুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে ৩২ জন গরু চোরের তালিকা পুলিশের কাছে দেয়া হয়েছে।
জেলার পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, গরু চুরি রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। নজরদারি বাড়ানো হবে বলেও জানন এই কর্মকর্তা। কৃষক ও খামারিদের স্বার্থ রক্ষায় সংশ্লিষ্টরা তৎপর হবেন এমনটাই প্রত্যাশা করেন তিনি।
বিবার্তা/নিয়ামুল/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]