হিলিতে অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত
প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৪, ২০:৫০
হিলিতে অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত
হিলি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলি উপজেলার আলিহাট ইউনিয়নের কোকতাড়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন কুমার সরকারকে অর্থ কেলেঙ্কারির ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাময়িক বরখাস্ত করেছেন সভাপতি সুমন মণ্ডল।


২৬ মার্চ, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটায় সরেজমিনে দেখা যায়, কোকতাড়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে সভাপতি সুমন মণ্ডল প্রধান শিক্ষক রতন কুমার সরকারকে সাময়িক বরখাস্ত করে উক্ত পদে সিনিয়র সহকারী শিক্ষক নওশাদ আলীকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। এরপর স্বেচ্ছায় প্রধান শিক্ষক চাবি জমা দিয়ে চলে যান বলে দাবি সভাপতির। অপর দিকে জোরপূর্বক এসব করা হয়েছে বলে দাবি প্রধান শিক্ষকের।


কোকতাড়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুমন মণ্ডল বিবার্তাকে বলেন, বিদ্যালয়ের অর্থ কেলেঙ্কারির সাথে তিনি সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে চলতি মাসের ১০ তারিখের কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১১ মার্চে প্রধান শিক্ষককে কৈফত তলব করা হয়। কেন তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে না মর্মে সাত কার্য দিনের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব দিতে বলা হয়। তিনি কৈফতের জবাব না দেওয়ায় গত ২১ মার্চ তারিখে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বিষয়টি ২৫ মার্চ তাকে পত্র মারফত জানানো হয়। আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে স্কুলের সকল শিক্ষক ও সদস্যদের উপস্থিতিতে প্রধান শিক্ষক রতন কুমার সরকারকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্কুলের সকল কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে নতুন দায়িত্ব নওশাদ আলীকে দেওয়া হয়েছে। পরে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক স্বেচ্ছায় চাবি ও রেজুলেশন বহি জমা দিয়ে চলে যায়।


লোক মারফত শুনতেছি নিজের দোষ ধামাচাপা দিতে আমাকেসহ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও দাতা সদস্যসহ চার জনের নামে থানায় অভিযোগ দিয়েছে। পুলিশ এসে তদন্ত করে চলে গেছেন। আমি সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি তাৎক্ষণিক মুঠোফোনে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসকে অবগত করেছি।


দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নওশাদ আলী বিবার্তাকে বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন এর জন্য আমরা সকল শিক্ষক ও কর্মচারীরা স্কুলে আসি এবং যথারীতি জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন করি। পরে জানতে পারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কিছু অনিয়মের অভিযোগে কমিটির সভাপতি ও সদস্যগণ প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে সিনিয়র হিসেবে আমাকে প্রধানের দায়িত্ব দেন। পরে রতন কুমার সরকার স্বেচ্ছায় চাবি ও রেজুলেশন বহি জমা দিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেন।


অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক রতন কুমার সরকারকে বারবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আহমদ আহসান হাবিব বিবার্তাকে বলেন, বিষয়টা আমাকে বিদ্যালয়ের সভাপতি মুঠোফোনে জানিয়েছেন এবং পরবর্তীতে সব কাগজপত্র পাঠিয়ে দিতে চেয়েছেন। এছাড়াও আমাকে থানা থেকে ফোনে বলা হয়েছে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে এসেছে। এদিকে বিষয়টি ইউএনও মহোদয়ও আমাকে বলেছেন। হঠাৎ করে কেন এমন হলো বিষয়টা আমি খতিয়ে দেখব এবং আগামীকাল সভাপতি, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক, দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ সবাইকে আমার অফিসে ডেকেছি। দেখা যাক আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করা যায় কিনা?


বিবার্তা/রব্বানী/রোমেল/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com