কুড়িগ্রামের চিলমারীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক স্কুলে না এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরের ঘটনা ঘটছে।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নে মজারটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে মজারটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে তালা ঝুলছে। এসময় প্রধান শিক্ষকের রুমে তিনজন সহকারী শিক্ষকের উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যায়।

তারা বলেন, রমজান ইদের জন্য আজ স্কুল বন্ধ দেয়া হলো। এই জন্য একটু আগে স্কুল ছুটি দেয়া হয়েছে।

সহকারী শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বাকি শিক্ষকরা একটু আগে বাড়িতে চলে গেছে। সহকারী শিক্ষিকা মাকসুদা বেগম স্কুল আসার বিষয়ে জানতে চাইলে ওই শিক্ষক বলেন, তিনি আজ স্কুলে আসেনি। এসময় হাজিরা খাতা দেখলে সহকারী শিক্ষিকা মাকসুদা বেগমের বৃহস্পতিবার (২১ মার্চের) স্বাক্ষর দেখতে পাওয়া যায়।

স্কুল শিক্ষার্থীরা বলেন, একটু আগে স্কুল ছুটি দিয়েছে। মাকসুদা আপা আজ স্কুলে আসে নাই।

এ বিষয়ে জানতে সহকারী শিক্ষিকা মাকসুদা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার স্বামী অসুস্থ আমি তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি ছয়দিন ছুটি শেষে বৃহস্পতিবার স্কুলে যেতে পারিনি। প্রধান শিক্ষক স্যারকে মোবাইলে বলেছি আমি আজ স্কুলে যেতে পারবো না।

হাজিরা খাতায় উপস্থিতির স্বাক্ষর হয়েছে প্রশ্নে তিনি জানান, আমার হাজিরা খাতায় কে স্বাক্ষর করেছে তা আমি জানি না।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুরুজামাল বলেন, ওই শিক্ষিকা আমাকে ফোনে ছুটি চেয়েছেন। এখন হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর কে করেছে তা আমার জানা নেই।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রধান শিক্ষক বলেন, স্কুল দীর্ঘদিন ছুটি হলে তার আগের দিন স্কুলে না আসলে নৈমিত্তিক ছুটি নেয়ার কোন বিধান নেই। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্যারের কাছে চিকিৎসার জন্য ছুটির আবেদন করতে হবে। ছুটি না নিলে যে কয়েক দিন স্কুল বন্ধ থাকবে সেই দিনের বেতন পাবেন না।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) মো. জাকির হোসেন জানান, আমি ওই শিক্ষিকার ছুটির বিষয়ে জানি না আপনার কাছে এই মাত্র শুনলাম সে না এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেছে বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো।

বিবার্তা/রাফি/সউদ