
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ভোলার ছড়া সরকারি অভয়াশ্রমের পুকুরে রাতের আধারে দুর্বৃত্তদের দ্বারা বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ৪ লাখ টাকার মাছ নিধন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মরা মাছের গন্ধে অতিষ্ঠ এখন এলাকাবাসী।
জানা যায়, উপজেলার রমনা ইউনিয়নের ভোলার ছড়া এলাকায় আয়তনে ০.৮০ একর একটি পুকুরে প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৪ লক্ষ টাকার মাছের চাষ করেন উপজেলা মৎস্য বিভাগ।
১৮ মার্চ, সোমবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় সরকারি অভয়াশ্রম পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে দুর্বৃত্তরা। ১৯ মার্চ, মঙ্গলবার সকালে পুকুর গিয়ে সব মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখে হতবাক হয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে তারা অভয়াশ্রম পরিচালনার দায়িত্বে থাকা উপজেলা মৎস্য অফিস কে বিষয়টি অবগত করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা কাজিম উদ্দিন বলেন, কে বা কারা রাতের আঁধারে সরকারি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেছে। এতে পুকুরের মাছ মরে ভেসে উঠেছে। যারা এ কাজ করেছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. মফিজল হক বলেন, মানুষের মধ্যে শত্রুতা দেখেছি। কিন্তু মাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা, এমন ঘটনা আমাদের এলাকায় প্রথম দেখলাম। কে বা কারা রাতের আঁধারে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে সব মাছ মেরে ফেলেছে। সকালে এসে দেখি পুকুরের মাছগুলো মরে ভেসে আছে।
চিলমারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান খান জানান, ঘটনা জানার পরই আমি অভয়াশ্রমে যাই গিয়ে মাছ মারা গেছে এর সত্যতা পাই। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পানি দূষণের ফলে এ ঘটনা ঘটেছে।
বিষ প্রয়োগের ফলে মাছ মারা গেছে কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, উপজেলা পর্যায়ে ল্যাব না থাকায় বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় আমি তাৎক্ষণিক ইউএনও স্যার কে জানিয়েছি।
চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোজাম্মেল হক জানান, মাছ মরার বিষয়টি আমি শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিনহাজুল ইসলাম জানান, মৎস্য অফিসারকে ঘটনাস্থলে যেতে বলেছি। অভয়াশ্রম নিয়ে মামলা চলমান আছে এর মধ্যে এই ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তদন্ত করে অপরাধীদের বের করে আইনের আওতায় আনা হবে, কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
বিবার্তা/রাফি/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]