
রমজানকে কেন্দ্র করে বাজারে যখন লাল ডিম প্রতি হালি ৪০ হতে ৪২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে তখন ওই ডিমই ৩৬ টাকা দরে বিক্রি করে উদাহরণ সৃস্টি করেছে কাইয়ুম নামে এক ডিম ব্যবসায়ী।
তার ফেসবুক পেইজে দাম কমানোর স্ট্যাটাস দেওয়ার পর পরই বাজারে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ডিম ব্যবসায়ী কাইয়ুম পেশায় একজন সাংবাদিক। তিনি জাতীয় দৈনিক যায়যায় দিন পত্রিকার পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি। সাংবাদিকতার পাশাপাশি দীর্ঘদিন যাবৎ ডিম ব্যবসার সাথে জড়িত।
জেলা শহরের পুরাতন পঞ্চগড় ধাক্কামারা গোল চত্বর এলাকায় তার এ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। লাল ডিমের পাশাপাশি হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৫৮ টাকা, ডাবল কুসুম ডিম প্রতি হালি ৫২ টাকা ও কোয়েল পাখির ডিম প্রতি হালি ১৩ টাকা দরে বিক্রি করছেন। এছাড়াও পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে তার দোকানে চাল ও গ্যাসের সিলিন্ডার বাজার মূল্যের চেয়ে সীমিত লাভে বিক্রি করছেন তিনি।
পুরাতন পঞ্চগড় এলাকার বাসিন্দা রাইসুল কারীম জানান, ডিম ব্যবসায়ী কাইয়ুম আসলে একজন ভাল মানুষ । তিনি সব সময় মানুষে দুঃখ কষ্টের কথা ভাবেন। ভাবনা থেকেই তার এমন ব্যতিক্রম উদ্যোগ। রমজানে নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে নাজেহাল নিম্ন আয়ের মানুষ। নিম্ন আয়ের মানুষের সেহেরিতে একমাত্র ভরসাস্থল ডিম। সেই ডিমও বাজারে এক এক সময়ে এক এক দরে বিক্রি করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। ডিম ব্যবসায়ী কাইয়ুম ওই ডিমই যদি ৩৬ টাকা বিক্রি করে লাভ করতে পারেন তাহলে অন্যান্য ব্যবসায়ীরা কেন গরীব মানুষের পকেট কাটছেন? ভোক্তা অধিকারসহ জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাধারণ ক্রেতারা।
শহরের রাজনগর এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান, রৌশনা বাগ এলাকার বাসিন্দা মোজাম্মেল হক, ইসলামবাগ এলাকার বাসিন্দা মোতাহার হোসেন ও কলেজ রোডের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন কাইয়ুম ডিম ব্যবসায়ী কাইয়ুম ভাইয়ের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।
তারা বলেন, বাজারে প্রশাসনের তেমন মনিটরিং না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছেন। মাছ, মাংস, চাল, ডাল, তেল, সবজিসহ প্রতিটি জিনিসের দাম প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি পাচ্ছে। মনিটরিং এর অভাবে সুযোগ বুঝে অসাধু ব্যবসায়ীরা যা মন চাচ্ছেন তাই করছেন।
ঢাকার বাজারে রমজান উপলক্ষ্যে নিত্যপণ্যের দাম যদি কম পাওয়া যায় তাহলে আমাদের পঞ্চগড়ে কেন নয়? এমন প্রশ্ন সাধারণ মানুষের। তারা মনে করেন ডিম ব্যবসায়ী কাইয়ুম ভাইয়ের মতো আর দু-চারজন ব্যবসায়ী যদি সাধারণ মানুষের কথা ভেবে এগিয়ে আসেন তাহলে অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট অনেকটা হলেও ভাঙ্গবে বলে ধারণা করেন তারা ।
ডিম ব্যবসায়ী কাইয়ুম জানান, শুধু রমজান মাস উপলক্ষ্যে নয়, সারা বছরেই তার দোকানে ডিমের পাশাপাশি চাল ও গ্যাসের দাম অন্যান্য দোকানের চেয়ে একটু কম থাকে। রমজান মাসে নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার কথা চিন্তা করে যত কিঞ্চিৎ মুনাফায় ডিমে দাম কমিয়ে দেয়া। তার এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে এবং বাজারে যে রেট থাকবে তার চেয়ে অবশ্যই দু এক টাকা কম থাকবে বলে জানান তিনি।
বিবার্তা/গোফরান/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]