
'রমজান মাসে আমাদের বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে, এর মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ট্র্যাফিক। ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ কাজ করছে।' গতকাল ডিএমপির এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বলেছিলেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।
যেমন কথা তেমন কাজ। প্রথম রোজার ইফতার, স্বাভাবিকভাবেই আপনজনের সঙ্গে ইফতার করতে অফিস শেষে ছুটে চলে মানুষ। ফলে ঢাকায় দেখা দেয় ভয়াবহ যানজট। এ অবস্থায় মানুষের নির্বিঘ্নে ঘরে পৌঁছাতে অফিস শেষে রাস্তায় নেমে পড়েন খোদ ডিএমপি কমিশনার। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশকে দেন বিভিন্ন নির্দেশনা। পরে ইফতারের সময় ঘনিয়ে এলে ট্রাফিক পুলিশদের সঙ্গে রাস্তায় করেন ইফতার।
১২ মার্চ, মঙ্গলবার ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সোনারগাঁও ক্রসিংয়ে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে ইফতারে অংশ নেন তিনি। এদিন ডিএমপি কমিশনার তেজগাঁও থানার আয়োজনে অসহায় দুস্থদের মাঝে ইফতারসামগ্রীও বিতরণ করেন।
ট্রাফিক ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে তিনি বলেন, কর্মব্যস্ত নগরবাসী কর্মস্থল থেকে নিরাপদে বাসায় ফিরে তাদের পরিবারের সঙ্গে ইফতার করতে পারেন সেজন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক সদস্যদের সঙ্গে অতিরিক্ত জনবল মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সোনারগাঁ ক্রসিং ঢাকা শহরের ব্যস্ততম একটি স্থান। এখান থেকে উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিম সবদিকে গাড়ি যায়। সেই হিসেবে এখানকার অবস্থা সন্তোষজনক। ইফতারের ২০ মিনিট আগে দেখা গেছে রাস্তায় তেমন কোনো চাপ নাই।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, রমজানের ১০/১৫ দিন পর থেকে মানুষজন কেনাকাটায় বের হন। সেজন্য একটু যানজটের সৃষ্টি হয়। বেশিরভাগ মার্কেটেই পর্যাপ্ত পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেই। আমরা সেখানে মার্কেট কমিটির লোকজন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ মিলে সেটি যাতে সহনীয় রাখা যায় সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছি।
বিবার্তা/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]