
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক ও গোবিন্দগঞ্জ- দিনাজপুর- আঞ্চলিক মহাসড়কে মাঝে মধ্যে তীব্র যানজটে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন চলাচলকারী যানবাহনের যাত্রী, চালক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
শহরের মধ্যদিয়ে চলে যাওয়া এই দুটি মহাসড়কের পাশে সিএনজি, রিকশা ও অটোরিক্সা দাঁড়িয়ে থাকায় সড়ক সংকুচিত হয়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পথচারী, ছাত্র-ছাত্রী সহ যানবাহনের যাত্রীরা।
গোবিন্দগঞ্জ থানা চার মাথা মোড় এলাকায় ঢাকাসহ দূরপাল্লার যাত্রীবাহী কোচ কাউন্টারের সামনে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করে যাত্রী ওঠা নামা করায় এবং শহরের মাঝে সিএনজি, ইজিবাইক ও অটো রিকশার স্ট্যান্ড থাকায় এ যানটের অন্যতম কারণ বলে সচেতন মহল জানায়। থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও ট্র্যাফিক পুলিশ থাকলেও মাঝে মধ্যে এ যানজট নিরসনে কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় পৌরবাসীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক এবং গোবিন্দগঞ্জ- দিনাজপুর- আঞ্চলিক মহাসড়কে দুটি গোবিন্দগঞ্জ শহরের মধ্য দিয়ে চলে যাওয়ায় উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলার সাথে সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রবেশদ্বার হিসেবে গোবিন্দগঞ্জ বিশেষ ভাবে পরিচিত। উত্তরের রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার সকল প্রকার যানবাহন রাজধানী ঢাকা সহ বিভিন্ন স্থানে চলাচল করে।
এ ছাড়াও মধ্যপাড়া, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এবং হিলি, বুড়িমারী, সোনাহাট, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের পণ্যবাহী বিভিন্ন ধরনের হালকা ও ভারী যানবাহন গোবিন্দগঞ্জ শহর হয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু শহর এলাকায় মহাসড়কের বেশিরভাগ অংশ দখল করে সিএনজি, ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা, রিকশা এলোপাথাড়ি ভাবে দাঁড় করে রাখায় যানজট যেন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কারণে দূরপাল্লা ও জরুরি পরিষেবার গাড়ি সহ সব যানবাহন দীর্ঘ সময় যানজটে আটকা পড়ে থাকতে হয়। সেই সাথে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পথচারী, ছাত্র-ছাত্রী সহ যানবাহনের যাত্রীরা।
গোবিন্দগঞ্জ শহরের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার কিছু চালক মহাসড়কের পাশে দাঁড় করে যাত্রী তোলায় এবং যাত্রীর জন্য দাঁড় করে রাখায় অন্য যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করতে পারে না। যে কারণে শহর এলাকায় যানবাহনের জট লেগেই থাকে।
একজন স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেন যানজটের কারণে ক্রেতা সাধারণ সড়ক পারাপার হতে না পারায় বেচা কেনা কমে যাচ্ছে। আবার যানবাহনের হর্নের শব্দ দোকানে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে।
গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবার রহমান বলেন, মহাসড়কের কাজ চলমান রয়েছে। যে কারণে শহর এলাকা জুড়ে ছোট বড় খানাখন্দে ভরে গেছে। এ ছাড়াও থানার চারমাথা থেকে উপজেলা সড়ক পর্যন্ত শহরের মহাসড়কে অংশটি সংকুচিত রয়েছে। সড়ক সংস্কার শেষ হলে সমস্যা কাটিয়ে উঠবে।
বিবার্তা/আ.খালেক/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]