দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ২ নং ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের বিরুদ্ধে ট্রেডিং করপোরেশন বাংলাদেশ (টিসিবি) এর মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে পণ্য বিক্রি কার্যক্রমে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রকৃত সুবিধাভোগীদের কার্ড দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা গোপনে পণ্য উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও টিসিবির পণ্য পায়নি অনেকে।

২২ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইউনিয়ন পরিষদে পরিদর্শনে গিয়ে অনিয়মের ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ইউএনও মো. তাজ উদ্দিন। টিসিবি পণ্য ক্রয়ের সময় ঐ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ৭৬ টি, ৫ নং ওয়ার্ডের ৫টি, ৮ নং ওয়ার্ডের ৬ টি ও ৯ নং ওয়ার্ডের ২২ টি প্রকৃত উপকারভোগীদের কার্ডসহ হাতেনাতে দুই ইউপি সদস্যকে শনাক্ত করেন ইউএনও।

এই ঘটনায় জড়িত ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম বাবুল, ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাজেদুল ইসলাম ও ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মমিনুল হকের কাছে তিন দিনের মধ্যে লিখিত জবাব চেয়েছেন ইউএনও।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নে টিসিবি সুবিধার আওতায় রয়েছেন ৩৫০০ জন। এরা প্রত্যেক ৪৭০ টাকার বিনিময়ে প্রতি মাসে ৫কেজি চাল, ২লিটার সয়াবিন তেল ও ২কেজি মসুর ডাল ক্রয় করে। তবে পরিবার পরিচিত কার্ড হালনাগাদ চলমান থাকায় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা প্রকৃত সুবিধাভোগীদের না জানিয়ে নিজের খেয়ালখুশি মত করে টিসিবির পণ্য উত্তোলন করেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পণ্য বিক্রয়কারী ডিলারের লোকজন তালিকা ও কার্ডের সাথে ক্রয়কারীর পরিচয় মিলিয়ে দেখছে না। যিনি কার্ড নিয়ে এসেছেন তিনি প্রকৃত কার্ডধারী কি না তাও যাচাই করছেন না। ফলে এক ব্যক্তির নামের কার্ডের পণ্য অন্যজন তুলছেন বলে জানা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: তাজ উদ্দিন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও দুই ইউপি সদস্যকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিবার্তা/জামান/এমজে