গাইবান্ধায় জজ কোর্টের জায়গার লিজ নিয়ে আইনগত বৈধতা নিয়ে বিবৃতি
প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৪
গাইবান্ধায় জজ কোর্টের জায়গার লিজ নিয়ে আইনগত বৈধতা নিয়ে বিবৃতি
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

গাইবান্ধার কাছারি বাজারের পুরাতন জজ কোর্টের জায়গা দখল-বেদখল ও কথিত লিজ প্রক্রিয়ার আইনগত বৈধতা নিয়ে গাইবান্ধার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদরা বিবৃতি দিয়েছেন।


২২ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে নেতৃবৃন্দ জানায়, গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি যে সম্প্রতি শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত গাইবান্ধার কাছারি বাজারে পুরাতন জজ কোর্টে জায়গায় দখল-বেদখল ও মূল্যবান বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কর্তন করা হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এ নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে।


প্রথমত- কোন প্রক্রিয়ায়, কীভাবে, কবে, কখন মূল্যবান জায়গাটি লিজ দেয়া হয়েছে তা অস্পষ্ট। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকার পর কেন হঠাৎ করে লিজ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল তাও অস্পষ্ট। এমনভাবে রাতারাতি যেখানে পুরোনো গাছ গাছালি কেটে হরিলুট করা হলো তারপরেও সর্বোচ্চ আইন প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠান- জায়গাটির তত্ত্বাবধায়ক জেলা ও দায়রা জজ আদালত কর্তৃপক্ষের নির্বিকার ভূমিকা জনমনে প্রশ্ন তুলেছে।


সরকারি জায়গায় গাছ কাটার ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন নিয়েছে কিনা তা পরিষ্কার না। শোনা যায়, প্রতি স্কয়ার ফিট আট টাকা ফি দরে লিজ দেয়া হলেও এই লিজ ফি কোন প্রক্রিয়ায় নির্ধারণ করা হয়েছে তা জানা দরকার। নিয়ম অনুযায়ী পৌর এলাকার যে কোন অবকাঠামো নির্মাণের জন্য পৌরসভা থেকে নকশা অনুমোদন করা বাধ্যতামূলক হলেও এ ক্ষেত্রে অনুমোদন নিয়েছে কি না সেটাও অজানা।


ব্যবসায়ী ছাড়াও প্রভাবশালী বিভিন্ন শ্রেণির পেশার মানুষকে এই জায়গায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এমনকি তাদের অনেকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে হাতবদল করেছে। এমনও শোনা যায় কর্তৃপক্ষ নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে কথিত ভাড়াটেদের কাছে শর্ত দিয়েছে যে কোন সময় বিনা নোটিশে এ জায়গা ছাড়তে হবে।


তাহলে যারা বুঝে কিংবা না বুঝে লক্ষ লক্ষ টাকায় বা মোটা অঙ্কের বিনিময়ে বরাদ্দ কৃত জায়গার বদলে লেনদেন করছে ভবিষ্যতে চুক্তির শর্ত অনুপাতে আর্থিক ক্ষতির সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এখন উপরোক্ত প্রশ্ন সমূহের উত্তর প্রকাশ করা কর্তৃপক্ষের নৈতিক দায়িত্ব বলে আমরা মনে করি। আমাদের বিশ্বাস কর্তৃপক্ষ দ্রুত সময়ের মধ্যে পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে কথিত লিজের প্রক্রিয়ার বৈধতাসহ সকল প্রশ্নের জবাব প্রকাশ করবেন। আর এ সব তথ্য জানার অধিকার আমরা নাগরিক অধিকার বলে মনে করি।


আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীগণ:


১.কমরেড আমিনুল ইসলাম গোলাপ, সদস্য, পলিটব্যুরো কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টি
২. কমরেড প্রনব চৌধুরী, সভাপতি, বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টি, গাইবান্ধা জেলা
৩. কমরেড আহসানুল হাবীব সাঈদ, আহ্বায়ক, বাসদ, (মার্কসবাদী) গাইবান্ধা জেলা
৪. কমরেড মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল, সাধারণ সম্পাদক, সিপিবি, গাইবান্ধা জেলা
৫. মৃনাল কান্তি বর্মন, আহ্বায়ক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, গাইবান্ধা জেলা
৬.কমরেড রেবতি বর্মন, সম্পাদক, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট লীগ, গাইবান্ধা জেলা।
৭. অ্যাড: নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, সদস্য, বাসদ, (মার্কসবাদী) গাইবান্ধা জেলা।


বিবার্তা/আনোয়ার/রোমেল/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com