অবৈধ দখলদারদের থাবায় নিঃশেষ হওয়ার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রাচীন বাইপাস খাল। ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটির বেশির ভাগই এখন ভূমি খেকোদের কবলে।
খালের বিভিন্ন অংশে গড়ে উঠেছে মার্কেট, বাড়িসহ নানা স্থাপনা। এতে অস্তিত্ব হারিয়ে খালটি প্রায় বিলীন। যার বিরূপ প্রভাব পড়ছে জীববৈচিত্রসহ পরিবেশের উপর। তবে জেলা পরিষদ বলছে দখলদারদের তালিকা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শুকনো মাটির উপর জীর্ণকায় দাঁড়িয়ে থাকা সেতুটি সাক্ষী দিচ্ছে, কীভাবে অস্তিত্ব হারিয়েছে এক সময়ের বাইপাস খাল। ভূমি খেকোদের দখলদারিত্বের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-লালপুর সড়কের দুপাশে থাকা খালটি এখন প্রায় বিলীন।
এক সময় সড়কের দু’পাশে থাকা খালগুলো মেঘনা ও তিতাস নদীর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছিল। প্রাচীন এই খালকে কেন্দ্র করে শহরের নাটাই-লালপুর এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যেরও প্রসার ঘটে। তবে গত প্রায় দুই দশকে এই খালগুলোর বিভিন্ন অংশে একে একে গড়ে উঠেছে বহুতল মার্কেট, বাড়ি-ঘর, দোকানপাটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
এতে ১৪ কি. মি. খালের বেশির ভাগ অংশই দখলবাজদের পেটে। পানির প্রবাহ না থাকায় নাব্যতা হারিয়ে খালগুলো যেমন ভরাট হয়ে পড়ছে। তেমনি হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। এছাড়া পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতাসহ নানা দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
স্থানীয়রা বিভিন্ন সময় খালগুলো উদ্ধারে দাবি জানালেও কাজ হয়নি কিছুই। তারা দ্রুত খালগুলো উদ্ধারে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এদিকে জেলা পরিষদের অধীন থাকা খালগুলো উদ্ধারে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম. এম. মাহমুদুর রহমান।
জীববৈচিত্র্যের স্বার্থে ও জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে খালগুলো উদ্ধারে সংশ্লিষ্টরা তৎপর হবেন এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।
বিবার্তা/নিয়ামুল/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]