
দরজায় কড়া নাড়ছে ফাগুন। আর একদনি পরেই গাছে গাছে ঝরবে পাতা। এমন অবস্থায় সারা দেশে শুষ্ক আবহাওয়া থাকলেও মাঘের শেষ দিনে পঞ্চগড়ে কমেনি শীতের দাপট। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ভোর থেকেই রোদের দেখা মিললেও জেলায় এখনও বইছে শৈত্যপ্রবাহ। তবে স্বস্তিতে রয়েছে জনজীবনের কর্মচাঞ্চল্য।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকেই ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। সকালে এই তথ্য জানান জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোরে সূর্য দেখা গেলেও কনকনে শীতে বেড়েছে ভোগান্তি। তবে সকালে রোদ দেখা দেওয়ায় স্বস্তি মিলেছে কাজকর্মে। বিভিন্ন পেশার শ্রমজীবীদের কাজে যেতে দেখা গেছে। নদীতে পাথর উত্তোলন, বোরো আবাদসহ নিত্যদিনের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন শ্রমজীবীরা।
স্থানীয়রা জানান, ভোরেই সূর্য উঠে যাওয়ায় শীত হলেও স্বস্তিতে রয়েছে কাজকর্ম। বিশেষ করে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত প্রচন্ড ঠান্ডা অনুভব হয়। সকাল ৯টার পর তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় দিনের বেলায় গরম অনুভব হয়। যার কারণে সকালেই যে যার মতো কাজে যেতে পারছেন।
জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রায় এক সপ্তাহ ধরেই শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ জেলায়। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত তাপমাত্রা নিম্নমুখী হলেও সূর্য উঠে যাওয়ায় স্বস্তিতে রয়েছে উত্তরের জেলা। দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকছে।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]