
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ প্রতিদিনই ওঠা নামা করছে। টানা কয়েকদিন জেলায় মৃদু ও মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ শেষে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। তাপমাত্রা বাড়লেও শীতের তীব্রতা কমেনি।
গত চব্বিশ ঘণ্টার ব্যবধানে জেলায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারি সকাল ছয়টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ।
আর সকাল নয়টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।
গতকাল সোমবার, ২৯ জানুয়ারি সকাল ছয়টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।
আর সকাল নয়টায় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিস জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
এদিকে ঘন কুয়াশা কেটে গিয়ে আজও সকাল সকাল দেখা মিলেছে সূর্যের। কিন্তু উত্তাপহীন সূর্য ঠান্ডা বাতাসের কাছে বড্ড অসহায়।
ভ্যানচালক জব্বার মিয়া বলেন, কুয়াশা কেটে গেছে কিন্তু ঠান্ডা বাতাস কমেনি। ভোরে আর রাতে বেশি ঠান্ডা লাগছে। ভাড়া মারতে পারছি না ঠিক মতো। আগের তুলনায় আয় অনেক কমে গেছে।
তীব্র শীতে জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের ভিড় বাড়ছে। শিশু ও মেডিসিন ওয়ার্ডগুলোয় ধারণ ক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার সব স্কুলে আজ থেকে একাডেমি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহের বেশি সময় পর ক্লাসে ফিরেছে শিক্ষার্থীরা।
বিবার্তা/আসিম/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]