
ঘন কুয়াশা ও চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে আবারও ক্ষতির মুখে পড়েছে হিলির কৃষকরা। আগাম বীজতলা তৈরি করলেও ঘন কুয়াশায় বিবর্ণ আকার ধারণ করে মরে যাচ্ছে বোরো ধানের বীজতলার চারা। এতে সঠিক সময়ে বোরো রোপণ নিয়ে অনেকটাই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এখানকার কৃষকরা।
খাদ্য শস্যের ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত উত্তর জনপদের দিনাজপুরের হিলিতে বোরো রোপণ করতে প্রস্তুত করা হয়েছে বোরো বীজতলা। আমনের ফলন ভালো হলেও আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় ইরি-বোরো ধানের ভালো ফলন আর ভালো দামের আশায় আগে-ভাগেই বীজতলা তৈরির কাজ সেরে ফেলেছেন এখানকার কৃষকরা।
কিন্তু শুরু থেকেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে ৫ থেকে ৭ ইঞ্চি লম্বা চারা গুলো বিবর্ণ আকার ধারণ করে মরে যাচ্ছে। কীটনাশক প্রয়োগ করেও মিলছে না কোনো সুরাহা।
অনেকে চারা রক্ষার্থে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখছেন বীজতলা। সঠিক সময়ে বোরো রোপণ নিয়ে হতাশায় এখানকার কৃষকরা। দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের তেমন দেখা মিলছে না আবার কখনো মিললেও সেই রোদের তীব্রতা তেমন নেই। তার সাথে হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে নষ্ট হচ্ছে ইরি বোরো ধানের বীজতলা। অধিকাংশ বীজতলার বীজগুলো হলুদ ও লালচে বর্ণের হয়ে বীজগুলো মরে যাচ্ছে।
উপজেলার বাওনা গ্রামের কৃষক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, বীজতলায় সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেও কোনো ফল পাচ্ছি না। এতে করে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি।
জালালপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ বলেন, আমি প্রায় ১০ বিঘা জমির জন্য বীজতলা প্রস্তত করেছি কিন্তু ঘন কুয়াশায় বীজতলা নষ্ট হয়েছে। আমি ইরি-বোরো ধান লাগানো নিয়ে খুব চিন্তায় আছি।
জাংগই গ্রামের কৃষক মহিদুল বলেন, প্রতিদিন সকালে বীজতলা থেকে কুয়াশা ফেলে দিচ্ছি। সেই সঙ্গে কীটনাশক স্প্রে করার পরও বীজতলার চারা মরে যাচ্ছে। এতে আমি চরম বিপাকে পড়েছি। একই সঙ্গে বাড়তি ব্যয় হচ্ছে। তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কারণে বীজতলায় লালচে ভাব এসেছিল।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম জানান, উপজেলার ৩ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় এবার প্রায় ৩৮২ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের বীজতলা তৈরি করেছে কৃষকেরা। বোরো চারা নষ্ট যাতে না হয় এবং বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর।
বিবার্তা/রব্বানী/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]