
দেশের দক্ষিণ পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ প্রতিদিনই নামা ওঠা করছে। একদিনের ব্যবধানে জেলায় তাপমাত্রা কিছুটা কমে আবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। হিম বাতাসে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় ও সকাল ৯ টায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল যথাক্রমে ১০০ ও ৯৪ শতাংশ।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার, চুয়াডাঙ্গায় সকাল ৬ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ।
আর সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। একই সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ।
গত বুধবার জেলায় সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার সকালে সূর্যের দেখা মিললেও নেই উত্তাপ। একদিকে উত্তাপহীন সূর্য ও অন্যদিকে উত্তর থেকে ধেয়ে আসা কনকনে ঠান্ডা বাতাসে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তীব্র শীতে নিম্ন আয়ের মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। টান পড়ছে আয়-রোজগারে।
দিনমজুর রাসেল বলেন, কাজের আশায় তীব্র শীতের মধ্যেই শহরে আসতে হয়। এই শীতে কাজ পাবো না জেনেও আসি৷ যদি কোনো একটা কাজ পেয়ে যায়। কাজ না করলে সংসার তো চলবে না।
শহরের ভ্যান ও অটোভ্যান চালকেরা জানান, প্রচণ্ড শীতে মানুষ তেমন প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না। ঠান্ডা বাতাসের কারণে খোলা ভ্যানে কেউ উঠতে চাচ্ছে না। এতে আমাদের আয় রোজগার অনেক কমে গেছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, গতকাল চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ওপর ছিল। আজ তাপমাত্রা কমে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে।
তীব্র শীতের কারণে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল, ৩টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বেসরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের চেম্বারে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের ভিড় বাড়ছে। বিশেষ করে সদর হাসপাতালের শিশু ও মেডিসিন ওয়ার্ডগুলোয় ধারণক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বিবার্তা/আসিম/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]