
দেশের দক্ষিণ পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গায় আজ থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলছে। মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তাপমাত্রা কমে যাওয়া ও উত্তর থেকে আসা কনকনে ঠান্ডা বাতাসে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শৈত্যপ্রবাহের কারণে জেলার সব মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তীব্র শীতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে হৃদ্রোগ ও শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ নিয়ে প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছেন অতিরিক্ত রোগী। চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে গত ৯ দিনে নারী-পুরুষ ও শিশু মিলে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৪ থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত ৯ দিনে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোট ২৬ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে ১৩ জন ও মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ১০ জন গেছেন এবং শিশু ওয়ার্ডে ৩ শিশু মারা গেছে।
পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ২৩ জন রোগীর মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের কনসালট্যান্ট আবুল হোসেন বলেন, হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের বেশির ভাগই হৃদ্রোগ ও শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসছেন। হার্ট অ্যাটাক, শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসে পানি জমে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।
শিশু বিভাগের কনসালট্যান্ট মাহবুবুর রহমান বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বা চিকিৎসাধীন শিশুদের মধ্যে বেশির ভাগই ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। নরমালি মায়ের গর্ভে ৩৭ সপ্তাহ থাকার পর সন্তান জন্ম নেওয়ার কথা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগে সন্তান জন্ম নিলে তাকে প্রি-ম্যাচিউর বাচ্চা বলা হয়ে থাকে। প্রি-ম্যাচিউর শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে শীতের সময় অনেক ঝুঁকিতে থাকে, এমনকি তাদের মৃত্যুঝুঁকিও থাকে।
জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আতাউর রহমান মুন্সী বলেন, হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিতে আসছেন তাদের বেশির ভাগই হাঁপানি, অ্যাজমা, নিউমোনিয়া, রোটাভাইরাসজনিত ডায়রিয়া, ব্রঙ্কিওলাইটিস ও হৃদ্রোগে আক্রান্ত।
বিবার্তা/আসিম/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]