
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গায় টানা তিন দিন ধরে বয়ে চলা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শেষে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। তবে উত্তর থেকে ধেয়ে আসা কনকনে ঠান্ডা বাতাসে জনজীবন অনেকটাই থমকে গেছে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে কিছু সময়ের জন্য আকাশ পরিস্কার হয়ে একটু গরম অনুভব হলেও একটু পরেই আবার কুয়াশার সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস বাড়তে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে জেলার মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সকাল ৬ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৩ শতাংশ।
আর সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ০৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৪ শতাংশ।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তার বলছেন, কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের আলো বাধাগ্রস্ত হওয়ায় মেঘলা পরিবেশ বিরাজ করছে। একই কারণে সূর্য তাপ ছড়াতে না পারায় তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
একদিকে যেমন উত্তাপহীন সূর্য অন্যদিকে সন্ধ্যা থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে স্বাভাবিক জীবন বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা।
তীব্র শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হতে হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষদের। ভোর থেকেই এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও চায়ের দোকানে শীত নিবারণের চেষ্টায় আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে দেখা গেছে নিম্ন আয়ের মানুষদের।
ভ্যানচালক আব্দুল মতিন বলেন, গতবারের চাইতে এবার মনে হচ্ছে শীত বেশি পড়ছে। ভাড়া মেরে দুটো টাকা আয় করার জন্য আসলাম। কিন্তু শীতের কারণে সেরকম প্যাসেঞ্জার পাওয়া যাচ্ছে না।
মৎস্যজীবী আশিক বলেন, পুকুরের পানি বরফের মতো ঠান্ডা। পুকুরে নামলেই জমে যাওয়ার মতন অবস্থা। তাই এক-দু দিন পরপর মাছ ধরতি হচ্ছে। প্রতিদিন পুকুরে নামলে ঠান্ডায় মরে যেতে হবে।
বিবার্তা/আসিম/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]