হাড়কাঁপানো শীতে জবুথবু চুয়াডাঙ্গার জনজীবন
প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৩০
হাড়কাঁপানো শীতে জবুথবু চুয়াডাঙ্গার জনজীবন
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গা ওপর দিয়ে। ঘন কুয়াশার কারণে দেখা মিলছে না সূর্যের। সেই সাথে উত্তরের হিমেল বাতাসের কারণে তীব্র শীতের অনুভূতি বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েকগুন।


১২ জানুয়ারি, শনিবার সকাল ৬টায় সর্বনিন্ম ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণগার। সে সময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ১০০ শতাংশ।


আর সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৫ শতাংশ। ঘণ কুয়াশার কারণে দৃষ্টি সীমা ৬০০ মিটারের মধ্যে।


গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বমিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা দেশের সর্বমিম্ন তাপমাত্রা। এর আগে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতারে আদ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। যা চুয়াডাঙ্গা জেলার এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।


দিনের বেশীরভাগ সময় দেখা মিলছে না সূর্যের। মধ্য বেলায় অল্প কিছুক্ষণের জন্য রোদ উঠলেও হিমেল বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উত্তাপ ছড়াতে পারছে না সূর্য। হাড়কাঁপানো ঠান্ডার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ।


এদিকে জেলায় তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সকাল ও সন্ধ্যায় সড়কে কমেছে মানুষের চলাচল। তবে তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে ছুটছে নিম্ন আয়ের মানুষ।


দিনমজুর শরিফুল বলেন, প্রতিদিন ভোরে জেলা শহরে কাজের সন্ধানে আসতে হয়। তীব্র শীতে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। যেন বরফ পড়ছে। বাধ্য হয়েই কাজে যেতে হচ্ছে। কিছুই করার নেই।


এদিকে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। গত সাত দিনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশুসহ প্রায় দুই হাজার রোগী আউটডোরেই চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।


সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আতাউর রহমান বলেন, তীব্র শীতে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বেশির ভাগই শিশু রোগী। গত সাত দিনে শিশুসহ দুই হাজার রোগী ঠান্ডাজনিত কারণে আউটডোরে চিকিৎসা নিয়েছেন।


চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন, জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। আগামী ১৮ তারিখ পর্যন্ত ঘন কুয়াশার উপস্থিতি থাকতে পারে। সামনে সপ্তাহে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এতে তাপমাত্রা আরও কমে যাবে।


বিবার্তা/আসিম/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com