
হিমেল হাওয়া, ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে দিনাজপুরের হিলির জনজীবন। দু দিন থেকে দেখা মেলেনি সূর্যের। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন কর্মজীবী ও ছিন্নমূল মানুষেরা। শীতবস্ত্রের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন অনেকে। কুয়াশার কারণে ট্রেন, বাসসহ অন্যান্য যানবাহনগুলো দিনের বেলাও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
রোদের অভাবে ধান শুকাতে পারছেন না মিল মালিকেরা। কাজের সন্ধানে বের হয়েও কাজ পাচ্ছেন না খেটে খাওয়া মানুষেরা।দোকানপাট খুলছে দেরিতে। বেশি কষ্টে আছেন কর্মজীবী ও ছিন্নমূল মানুষেরা।
শীতবস্ত্রের অভাবে বাড়ির বাহিরে বের হতে পারছেন না তারা। হিমেল বাতাস আর কনকনে ঠান্ডার কারণে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও সাধারণ মানুষজন।
ভ্যানচালক দুলাল বলেন, প্রচণ্ড ঠান্ডা আর খুব বাতাস বয়ে যাচ্ছে। সকালে বের হয়েছি এখন দুপুর ২টা বাজে ১০০ টাকার কাম করছি।
ঠান্ডায় মানুষ বের হচ্ছে না। তাই কাজ কমে গেছে। ইনকামও কম হচ্ছে।
সবজি ব্যবসায়ী তারেক রহমান বলেন, কয়েক দিন থেকে খুব কুয়াশা আর ঠান্ডা পড়ায় বেচাকেনা কমে গেছে। আজ হাটবার বাজারে মানুষ খুবই কম। আবহাওয়া ভালো থাকলে বেচাকেনা একটু বেশি হয়।
অটোবাইক চালক ফিজু বলেন, জীবিকার সন্ধানে অটো বাইক নিয়ে বের হয়েছি। ঘরে বাজার নেই। এজন্য বাইরে বের হয়েছি। খুব ঠান্ডা পড়েছে। পেটের দায়ে রাস্তায় নেমেছি। তীব্র ঠান্ডার কারণে যাত্রীও সংকট। আগের মত এখন তেমন ইনকাম নেই।
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, আজ বৃহস্পতিবার দিনাজপুর জেলায় ১১ ডিগ্রি তাপমাত্রা বিরাজ করছে।
বিবার্তা/রব্বানী/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]