
শৈত্যপ্রবাহের কারণে দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী হাকিমপুর হিলিতে ফের ঘন কুয়াশার সাথে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। ঘন কুয়াশা, মেঘলা আকাশ, হিমেল হাওয়া আর কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
১০ জানুয়ারি, বুধবার সকাল ৬টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলেনি।
দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ সকাল ৬টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৫ শতাংশ। গতকাল একই সময় তাপমাত্রা ছিল ১৪.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ।
সকাল থেকে বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে। শীতের তীব্রতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ঘন কুয়াশা। কুয়াশার কারণে রাস্তা-ঘাট কিছুই দেখা যাচ্ছে না। হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে ধীরগতিতে। দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ খেটে যাওয়া মানুষ। কাজের সন্ধানে বের হয়েও কাজ পাচ্ছেন না তারা। দোকানপাট খুলছে দেরিতে। বেশি কষ্টে আছেন ছিন্নমূল, শিশু ও বৃদ্ধ মানুষেরা।
বুধবার সকালে হিলি স্থলবন্দর থেকে ভারতীয় খালি ট্রাকগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে বের হয়ে যেতে দেখা গেছে। হিমেল বাতাস আর কনকনে ঠান্ডার কারণে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও সাধারণ মানুষজন। শীতের কারণে ঠান্ডা জনিত শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও ডায়ারিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই ঠান্ডাজনিত কারণে অনেক শিশু হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিচ্ছে।
কয়েক জন দিনমজুর কাজের সন্ধানে বের হয়ে হিলি বাজারে বসে থাকতে দেখা গেছে। কথা হয় দিনমজুর মজিবরের সাথে। তিনি বলেন, কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে সকাল ৭টায় বের হয়েছি। আজ একটু বেশি কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাস।
তিনি বলেন, সকাল থেকে বসে আছি কেউ আসেনি কাজে নেওয়ার জন্য। আমরা দিনআনি দিন খাই। আজ কাজ না পেলে না খেয়ে থাকতে হবে। আমরা একদিন কাজ না করলে পেটে ভাত যায় না। খুব কষ্ট হয় আমাদের পরিবারপরিজন নিয়ে।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত রায় জানান, এ পর্যন্ত উপজেলার ১ টি পৌরসভাসহ ৩ টি ইউনিয়নে ২০০০ শীতার্ত মানুষকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আরও চাহিদা পাঠানো হয়েছে। সেগুলো আসলে সেসব শীতবস্ত্র শীতার্ত মানুষদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
বিবার্তা/রব্বানী/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]