আশুলিয়ায় গার্মেন্টস শ্রমিকের হাত-পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৮
আশুলিয়ায় গার্মেন্টস শ্রমিকের হাত-পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার
সাভার প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

সাভারের আশুলিয়ায় এক গার্মেন্টস কর্মকর্তার বাড়ির তৃতীয় তলা থেকে দুরুল হুদা (৪২) নামে এক শ্রমিকের হাত-পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।


২১ নভেম্বর, মঙ্গলবার ভোর রাতে আশুলিয়ার পলাশবাড়ী বাতানটেক এলাকায় গার্মেন্টস কর্মকর্তা মো. আলম হোসেনের বাড়ির ৩য় তলা থেকে তার হাত-পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।


নিহত দুরুল হুদা (৪২) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার মোবারকপুর গ্রামের মৃত বাহার আলীর ছেলে। তিনি আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় ইনতেফা নামক কীটনাশক কারখানায় এবং তার স্ত্রী মেহেরুন্নেছা শাহারিয়া গার্মেন্টসে কোয়ালিটি পদে চাকরি করতো বাতানটেক এলাকায় ভাড়া থেকে ।


স্থানীয়রা জানায়, ভোর রাতে দিকে নিহতের স্ত্রী মেহেরুন্নেছার ডাক-চিৎকার শুনে আমরা ছুটে আসি এবং দেখতে পাই রুমের মেঝেতে দুরল হুদার মৃতদেহ হাত-পা বাধাঁ। পরে আশুলিয়া থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।


আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মালেক জানান, এলাকাবাসীর খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি এবং পোশাক কারখানার কর্মকর্তা মো. আলম হোসেনের মালিকানাধীন ফ্ল্যাটবাড়ির তিন তলার একটি কক্ষ থেকে হাত-পা বাধাঁ অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করি। তবে কে বা কাহারা এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে তা তদন্ত শেষে বলা যাবে।


অধিকতর তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে পিবিআই, র‌্যাব সদস্যসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।


আশুলিয়া থানার ওসি (অপারেশন ) মো. জামাল শিকদার বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের হাত ও পা বাঁধা ছিল। তার শরীরে ও মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে । হত্যার মূল কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।


বিবার্তা/বাশার/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com