দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্প রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন।
শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর সরকার উদ্যোগ নেয় উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন, শক্তি সাশ্রয়ী, পরিবেশ বান্ধব ও আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর একটি সার কারখানা নির্মাণের। এরপর ২০২০ সালের ১০ মার্চ ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। যার দায়িত্ব পায় সিসি সেভেন নামে চীনা এবং মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে একটি জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
দুই প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দুই মাস আগেই এর কাজ শেষ হয়ে যায়। এখন পরীক্ষামূলক সার উৎপাদন করছে কারখানাটি। ১১০ একর জমির উপর নির্মিত এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৫শত কোটি টাকা। এই কারখানার বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ধরা হয়েছে প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন। প্রতিদিন ২ হাজার ৮শত মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদনে সক্ষম অত্যাধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর এই কারখানাটি। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২২ সালের ২১ এপ্রিল গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি উক্ত প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।
শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, দেশের অভ্যন্তরে সারের ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি আমদানি নির্ভরতা কমাবে এ সার কারখানা। কারখানাটি চালু হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতে এরই মধ্যে ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্প উদ্বোধনী স্থল এবং নরসিংদী মুছলেহ উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়াম জনসমাবেশ স্থলসহ ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, সহস্রাধিক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে সভাস্থলের চতুরপাশে। নিছিন্দ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা এখন নরসিংদী শহর ও আশেপাশের এলাকা। এ উদ্বোধন ও জনসভাকে ঘিরে নরসিংদী জেলা জুড়ে মানুষের মনে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে।
বিবার্তা/কামাল/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]