বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নারায়ণগঞ্জ রুটের স্বপ্নচূড়া ডাবল ডেকার বিআরটিসি বাসে পাথর নিক্ষেপ করে হামলা চালিয়েছে দুর্বিত্তরা। এ হামলায় বাসের জানালার তিনটি কাঁচ ভেঙে গেলেও বাসে থাকা শিক্ষার্থীদের কোন ক্ষতি হয় নি।
৩১ অক্টোবর, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে শ্যামপুর থানাধীন জুরাইন রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত ‘স্বপ্নচূড়া’ ডাবল ডেকার বিআরটিসি বাসটি নারায়ণগঞ্জ থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছিল। বাসটিতে ১৫ জন শিক্ষার্থী ছিলেন।
বাসে থাকা শিক্ষার্থীরা বলেন, কয়েকদিন যাবৎ রাজধানীতে চলমান সহিংসতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আমাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করে বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যেই প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে পারে না ধিক্কার জানাই তাদের। এই সহিংসতার মধ্যে ক্লাস পরীক্ষা চালু রাখার কি দরকার।
বাসে অবস্থানকারী শেখ মারুফ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা বাসে মোট ১২ জনের মত ছিলাম। আমাদের বাস গেন্ডারিয়া আসার পর রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ১০-১২ জন হঠাৎ করেই আমাদের বাসে পাথর ছুঁড়তে থাকে। তাতে আমাদের বাসের কয়েকটি কাঁচ ভেঙে গেছে। বাসে কোন শিক্ষার্থীদের কোন ক্ষতি হয় নি।
‘স্বপ্নচূড়া’ বাসের চালক মুজিবুর রহমান বলেন, বাসটি গেন্ডারিয়া স্টেশন অতিক্রম করার সময় রাস্তার পাশেই কিছু লোক আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছিল। বাস সেখানে দাঁড় করালে তারা আমাকে আশ্বস্ত করে বলেন, শিক্ষার্থীদের বাসে কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু কিছু দূর আসতেই তারা অতর্কিত ঢিল ছুড়ে। এতে ডান পাশের পেছনের জানালার দুটি কাঁচ ও পেছনের একটি কাঁচ ভেঙে যায়।
বাসে হামলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. সিদ্ধার্থ ভৌমিক বলেন, আমি এখনো বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি আমি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা বিষয়টি অবগত হয়েছি। এটা রাষ্ট্রীয় সম্পদ তাছাড়াও বড় কথা হলো বাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছিলো। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং সে বিষয়ে কাজ চলমান।
এ বিষয়ে শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনাটি জানার পর খতিয়ে দেখতেছি। আমরা মনে করছি এটা কারা করেছে তা এখনো নিশ্চিত হতে পারি নি। এ রেলগেটের আশেপাশে অনেক অবচেতন ও কিছু দুষ্কৃতিকারী লোকজন থাকে। তারা প্রায়ই এ ধরনের ঘটনা ঘটায়। তারপরও আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]