সীমানা প্রাচীর না থাকায় ঝুঁকিতে প্রাথমিক পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯:২১
সীমানা প্রাচীর না থাকায় ঝুঁকিতে প্রাথমিক পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা
রংপুর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বিদ্যালয়ের মাঠ ঘেঁষেই চলে গেছে তুলশিরহাট-সয়ড়াবাড়ি পাকা সড়ক। গংগাচড়া উপজেলার বিদিতর আহম্মদীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর না থাকায় স্কুলে শিক্ষার্থীদের থাকতে হয় ঝুঁকির মধ্যে। এ দিকে সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে অভিভাবকরা থাকেন দুশ্চিন্তা ও আতঙ্কে।


বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭১ সালে বিদ্যালয়টি আলমবিদিতর ইউনিয়নে ৪০ শতক জমির ওপর নির্মাণ করা হয়। সেখানে বর্তমানে শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭৩জন। শিক্ষক রয়েছেন ৫জন।


পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী নওরিন আফরোজ ও রবিউল সানি বলেন, আমরা বিদ্যালয় মাঠে টিফিনের সময়ে ফুটবল ও ক্রিকেট খেলি। কিন্তু সব সময় দুর্ঘটনার ভয়ে থাকি। সেদিন খেলা চলাকালীন সময়ে একটি অটো নিয়ন্ত্রণ হারালে স্কুল মাঠে ঢুকে পরে।অল্পের জন্য রক্ষা পাই আমি এবং আমার সহপাঠী বৃন্দ।


আমাদের মাঠের পাশ দিয়ে চলে গেছে একটি পাকা সড়ক। সেই সড়ক দিয়ে চলাচল করে ছোট বড় অনেক ধরনের যানবাহন। আমরা খেলার সময়ে ফুটবল ও ক্রিকেট বল চলে যায় সড়কে। তা আনাতে গিয়ে কখন যে দুর্ঘটনার কবলে পড়ি, ঠিক নাই। এ কারণে স্যারেরা ফুটবল ও ক্রিকেট খেলতে নিষেধ করেন।’ তারা বলে, ‘বিদ্যালয়ে সীমানা প্রাচীর দেওয়া থাকলে ফুটবল আর সড়কে যেত না।’


চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আর্নিকা বলে, ‘ঝুঁকি নিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে মাঠে খেলাধুলা করতে হয়। রাস্তা পারাপারও করতে হয় ঝুঁকি নিয়ে।পরিবারের লোকজন ও স্যারেরা বলেন মাঠে খেলাধুলা করার সময়ে খুব সতর্কভাবে খেলাধুলা করবেন। কিন্তু এভাবে আর কতদিন সতর্ক হয়ে খেলাধুলা করতে হবে।


আব্দুল হক নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘ওই স্কুলে সন্তান পাঠিয়ে খুব ভয়ে থাকি।’ তিনি ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘বিদ্যালয় ঘেঁষে চলে গেছে পাকা সড়ক। সন্তানদের কথা চিন্তা করছে না কর্তৃপক্ষ। হয়তো কোনো একদিন কোনো শিক্ষার্থী সেখানে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলে প্রাচীর নির্মাণের উদ্যোগ নিবে কর্তৃপক্ষ।’


সহকারী শিক্ষক আফরোজা বেগম বলেন, শিশুরা সময় পেলেই রাস্তাটির ওপর খেলায় মেতে উঠে। তাই তারা শিশুদের নিরাপত্তায় বিদ্যালয়ে প্রাচীর নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।


বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজাহার হোসেন শাহ বলেন, ‘বিদ্যালয় ঘেঁষে পাকা সড়ক থাকায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে সব সময়ে আতঙ্কে থাকি। কারণ টিফিন ও ছুটির সময় তারা ছোটাছুটি করে। তাদের সহজে ধরে রাখা যায় না।তারপরেও যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে তাই যতদূর সম্ভব তাদেরকে সবসময় নজরে রাখার চেষ্টা করি।’


প্রধান শিক্ষক বলেন, ছুটি হলে দাঁড়িয়ে থেকে তাদের রাস্তা পার করে দেই। প্রাচীর নির্মাণের জন্য একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু কাজ হচ্ছে না’


উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাগমা সিলভিয়া খান জানান, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য বিদ্যালয়ে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করা জরুরি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’


বিবার্তা/নাহিদ/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com