নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের আমগাঁও গ্রামে ২৪ বছর বয়সী বাকপ্রতিবন্ধী এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আরাফাত নামের প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে অন্য এলাকায় কাজে গিয়েছিলেন দিনমজুর দম্পতি। আর সেই সুযোগে পাশের বাড়ির বখাটে যুবক তাদের বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণ করে। কথা বলতে না পারায় ওই তরুণীর চিৎকার পৌঁছায়নি স্থানীয়দের কানে। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এভাবেই প্রায় তিন মাস ধরে ধর্ষণ করে। ঘটনা কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

কয়েকদিন আগে ভুক্তভোগী তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। সেখানে পরীক্ষার পর চিকিৎসক জানায় সে অন্তঃসত্ত্বা। এরপর তার কাছে ঘটনা জানতে চাইলে সে ইশারা ইঙ্গিতে ঘটনার বর্ণনা দেয়। পরে তরুণীর মা-বাবা ওই যুবকের পরিবারে কাছে গেলে তারা তরুণীর গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করে দিতে বলে। ঘটনার রফাদফা না করলে এলাকাছাড়া করার হুমকিও দেয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই তরুণীর মা গেল শুক্রবার রাতে সোনারগাঁও থানায় মামলা করেন।

বাকপ্রতিবন্ধী তরুণীর ওপর চলা এমন নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। শুধু তরুণীর পরিবারই নয় এলাকাবাসীও চান দোষীর শাস্তি হোক। এদিকে মামলার পর থেকেই পলাতক আরাফাত নামের ওই যুবক। তাকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসাদুর রহমান।

পুলিশ বলছে, চলতি বছর নারায়ণগঞ্জে ১৯৬টি ধর্ষণের মামলা হয়েছে। প্রায় ঘটছে এমন নির্মম ধর্ষণের ঘটনা। শনিবার বিকেলে নারী পুলিশের সহযোগিতায় নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন ওই তরুণী। ইশারা ইঙ্গিতে জানিয়েছের তার ওপর চলা নির্মম নির্যাতনের ঘটনা।

বিবার্তা/লিমন