চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে যৌননিপীড়ন চেষ্টার অভিযোগ
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৩, ১৮:০০
চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে যৌননিপীড়ন চেষ্টার অভিযোগ
গংগাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌননিপীড়নের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে অফিস সহায়ক কাম নৈশপ্রহরী মুজাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।


গত বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার লাল চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল রবিবার (১৩ আগস্ট) উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই ছাত্রীর বাবা।


অভিযোগ ও ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার স্কুল ছুটি শেষে অফিস সহায়ক মুজাহিদুল মেয়েটিকে স্কুলে আটক রেখে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনা জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন এলাকার অভিভাবকরা। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত অফিস সহায়ক মুজাহিদুলের শাস্তির দাবিতে রবিবার বিদ্যালয় চত্বরে অবস্থান নেয় অভিভাবকরা।


এলাকার অভিভাবক রোস্তম আলী অভিযোগ করে বলেন, আমরা সন্তানকে স্কুলে পাঠাই। কিন্তু সেখানে অফিস পিয়নের দুশ্চরিত্রতার কারণে নিরাপদ নয় সন্তানরা। আমরা এখানে এসেছি অফিস পিয়নের শাস্তির দাবি নিয়ে। আর যেন কোনো মেয়ে এ রকম নির্যাতনের শিকার না হয়।


তবে বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ৫ শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলে, প্রধান শিক্ষকের দুটি ক্লাস পিয়ন মুজাহিদুল নেন। এ সুযোগে মুজাহিদুল মেয়েদের শরীরে হাত দেন। আবার কেউ পড়াত না পারলে তিনি মারধরও করেন।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিভাবক বলেন, বাচ্চারা স্কুলের শিক্ষকদের ভয় পায় না। কিন্তু পিয়নকে খুব ভয় পায়। কারণ তিনি ক্লাস নেয়ার নামে বাচ্চাদের খুব পেটান। সেই অভিভাবকের অভিযোগ, স্কুলে আটজন শিক্ষক থাকার পরও কেন পিয়নকে ক্লাস নিতে হয়?


ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছেন পিয়ন। তার শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দেয়ায় উল্টো পিয়নের পরিবার আমাদেরকে বাড়িতে এসে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন।


অভিযোগ সম্পর্কে মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি মেয়েটির স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেইনি। এলাকার ভাতিজি হিসেবে ওইদিন ঠাট্টার ছলে তার হাতে একটু মারছিলাম। কিন্তু সে এটাকে এতদুর গড়াবে তা জানতাম না। তবে তিনি ক্লাস নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।


ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিমা বেগম পাঁচদিনের প্রশিক্ষণে থাকায় স্কুলে তাকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে তিনি বলেন, ভাই, আমি প্রশিক্ষণে আছি, আমাকে বিষয়টি কেউ জানায়নি।


এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অফিসে জরুরি কাজে থাকলে আমার ক্লাসের সময়ে পিয়নকে ক্লাসে পাঠাই। যাতে বাচ্চারা বাইরে বের হতে না পারে। কিন্তু তাকে ক্লাস নিতে কখনও বলিনি।


উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাগমা সিলভিয়া বলেন, আমি সচিব মহোদয়ের একটি মিটিংয়ে থাকায় ওই বিষয় সম্পর্কে কিছুই জানিনা। তবে বিষয়টি এখন শুনলাম। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখব।


বিবার্তা/নাহিদ/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com