রাজধানীর খিলগাঁওয়ে পৃথক ঘটনায় দুই তরুণীসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মৃতরা হলেন আয়শা সিদ্দিকা কথা, সীমা ও তারিকুল ইসলাম।

১১ জুন, রবিবার বিকালে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোনিয়া পারভীন জানান, রবিবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে খিলগাঁও পূর্ব গোড়ান ৯ নম্বর রোডের একটি টিনসেড বাসা আয়শার লাশ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ দুটি ঢাকা মেডিক্যাল মর্গে রাখা হয়েছে।

মৃত আয়েশা সিদ্দিকা কথার বাড়ি মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থানায়। তার স্বামী গাড়িচালক ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে গোড়ানের ওই বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

তার স্বামী জানায়, প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া তার কাছে এক হাজার টাকা পাবে। ওই টাকার জন্য দুপুরে প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝগড়া হয় আয়শার। পাওনাদারের টাকা পরিশোধ না করায় একপর্যায়ে আয়শা বাসায় আবার স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে। পরবর্তীতে রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেন আয়শা। খবর পেয়ে ওই বাসার দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

অপরদিকে খিলগাঁওয়ে সীমা নামের এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। খিলগাঁওয়ের মুগদা জেনারেল হাসপাতাল থেকে সীমা নামে ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই তরুণী এক বছর আগে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। সেখান থেকে চার-পাঁচ মাস আগে বাংলাদেশে আসেন। থাকতেন খিলগাঁও নন্দীপাড়ায়। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। এ কারণে তার পরিবার গত ২৭ মে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান দুই দিন ভর্তি থাকার পর সে নিজেই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।

শনিবার (১০ জুন) সন্ধ্যায় নন্দীপাড়া এলাকায় সীমা পথচারীদের বলেন, তিনি খুব অসুস্থ অনুভব করছেন। পরে পথচারীরা তাকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার (১১ জুন) সকালে মারা যান তিনি।

নিহত সীমার বাবার নাম নুর ইসলাম। সীমা মাদকাসক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশ।

অপরদিকে রাজধানীর খিলগাঁও থানার বনশ্রী এলাকা থেকে তারিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

তাদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বিবার্তা/বুলবুল/লিমন