উপকূলীয় অঞ্চল আমতলী ও তালতলীতে ঘূর্ণিঝড় মোখার কোন প্রভাবে পরেনি। রবিবার সকাল থেকে গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করলেও মানুষের জীবন যাত্রা ছিল স্বাভাবিক।
১৪ মে, শনিবার রাতে উপজেলা প্রশাসনের মাইকিং শুনে সাইক্লোণ সেল্টারে আশ্রয় নেয়া জনসাধারণ রবিবার সকালে বাড়ি ফিরে গেছেন। সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রিত মানুষ বাড়ি ফিরে গেলেও ঘূর্ণিঝড় মোখার তান্ডবের প্রতি তারা সজাগ ছিলেন বলে জানান সিপিপির টিম লিডার রিপন মুন্সি।
জানা গেছে,ঘূর্ণিঝড় মোখার ৮ নং মহাবিপদ সংকেতে উপকূলীয় অঞ্চল আমতলী ও তালতলীবাসী উৎকন্ঠায় রাত কাটিয়েছেন।
উপজেলা প্রশাসনের মাইকিং শুনে শনিবার রাতে দুই শতাধিক মানুষ সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় নেয়। কিন্তু তারা রবিবার সকালে বাড়ি ফিরে গেছেন বলেন জানান সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকরা।
ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় বরগুনা জেলা প্রশাসনের বরাদ্দকৃত দুই উপজেলায় ২০ মেট্টিক টন চাল ও এক লক্ষ টাকার অধিকাংশই খরচ হয়নি বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
বালিয়াতলী সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় নেয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, মাইকিং শুনে সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় নিয়েছিলাম কিন্তু বন্যা হয়নি, তাই সকালে বাড়ি ফিরে এসেছি।
বালিয়াতলী গ্রামের সবুজ গাজী বলেন, রাতে ৫-৬ জন মানুষ সাইক্লোন সেল্টারে এসেছিল। সকাল হওয়ার সাথে সাথে তারা বাড়ি চলে গেছেন।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, আমরা সতর্ক আছি। সর্বশেষ আবহাওয়া বার্তায় সন্ধ্যা পর্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চলে ৮নং মহাবিপদ সংকেত বহাল আছে।
বিবার্তা/নোমান/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]