টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিনিয়ত চলছে মাদক বেচাকেনা। নারান্দিয়া পরিণত হয়েছে মাদকসেবীদের অভয়ারণ্য। সম্প্রতি ইউনিয়নে বেড়ে গেছে চুরি ও মারামারির ঘটনা। ফলে সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, এলাকার উঠতি বয়সের অসংখ্য তরুণ-যুবা মাদকে আসক্ত হচ্ছে। ইউনিয়নের পালিমা, মাইস্তা, সিংগুরিয়া ও নারান্দিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রতিনিয়ত ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন ও গাজা বেচাকেনা হচ্ছে। মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে সাহস করছে না।
ইউনিয়নে গত কয়েকদিনে একাধিক বাড়িতে গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। নারান্দিয়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ৩টি গরু, মাইস্তা গ্রামের শংকর শীলের ১টি গাভী, মাইস্তা নয়াপাড়া গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ১টি ষাঁড় ও নগরবাড়ী থেকে আরো ১টি গরু চুরি হয়েছে। মাইস্তা আফসার আলীর বাড়ি থেকে হাঁস-মুরগিও চুরি হয়েছে।
এছাড়া বছর খানেক আগে নারান্দিয়া গ্রামের ইমাম ও নগরবাড়ী গ্রামের জয়দেব মোদকের বাড়িতে ভয়াবহ চুরির ঘটনা ঘটে। তাদের বিপুল পরিমাণ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি হয়। নৃপেণ মোদকের বাড়ি থেকে কয়েকটি গরুও চুরি হয়েছে।
নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আজাহার আলী প্রামাণিক বিবার্তাকে জানান, কয়েকদিন আগে আমার বাড়ি থেকে গরু চুরি হয়েছে। শুনলাম এলাকার আরো কয়েকটি বাড়িতেও চুরি হয়েছে। আমার ধারণা নেশাখোররা এসব চুরির সাথে সম্পৃক্ত। ফলে সাধারণ মানুষ আতঙ্কে আছে।
নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ তালুকদার বিবার্তাকে বলেন, আতঙ্কিত মানুষ নিজ দায়িত্বে গোয়ালঘর পাহারা দিচ্ছেন। গরু চোরের একটি বড় চক্র নিয়মিত এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
কালিহাতী থানার ওসি মোল্লা আজিজুর রহমান বিবার্তাকে বলেন, চুরির বিষয়গুলো আমি জানি না। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, গরু চুরির বিষয়টি শুনেছি। তবে মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। চুরির বিষয়টি আরো গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে বলে তিনি জানান।
বিবার্তা/ইমরুল/রোমেল/এমএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]