চট্টগ্রাম মহানগরীর অলিগলি
প্রথমে খোঁড়াখুঁড়ি, তারপর ঢিলেঢালা, শেষে লুটপাট!
প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৩, ১৫:০৫
প্রথমে খোঁড়াখুঁড়ি, তারপর ঢিলেঢালা, শেষে লুটপাট!
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

চট্টগ্রাম নগরীতে ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে অতিষ্ঠ নগরজীবন। ঠিকাদারের গাফিলতি, মানা হচ্ছে না নিয়ম। পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়াই যখন তখন যে কোন সড়ক খুঁড়ে খানাখন্দ করতে সিদ্ধহস্ত এখন ওয়াসা। যদিও পানি সরবরাহে পাইপলাইন বসাতে নগরজুড়ে এ যজ্ঞ চালাচ্ছে এই সেবা সংস্থাটি। রয়েছে চসিকেরও পাল্টাপাল্টি বক্তব্য।


সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে ভোগান্তির মুখে পড়েছেন সব সময় নগরবাসী। ধুলাবালির অসহনীয় যন্ত্রণা। স্বাস্থ্যঝুঁকিতে লাখ লাখ মানুষ। কিন্তু কারো দায়িত্ব ও জবাবদিহিতা নেই। পিচঢালা সড়কে রাতে কিংবা দিনে চলছে যন্ত্রের আঘাত।


ভরদুপুরে কেউ হাটছেন নাকে মুখে হাত রেখে, আবার কেউ মুখে মাস্ক পরে। চট্টগ্রামের সবকটি রাস্তাঘাটে এখন যেদিকে চোখ যায় শুধু ধুলো আর বালি। আর এতে অতিষ্ট নগরবাসী। শুধু সড়কেই নয়, সড়কের পাশের গাছপালার পাশাপাশি অধিকাংশ যানবাহনের রং ও ধু্লোয় মিশে হয়েছে বিবর্ণ।


অভিযোগ রয়েছে, ঠিকাদারেরা প্রকল্প লুটপাট করতে সড়কে এসব কাণ্ড করে বসেন। প্রথমে খোঁড়াখুঁড়ি, তারপর ঢিলেঢালা অবস্থানে। চসিক ও ওয়াসা। অনেকে দাবি, হয়তো কারো ভাগে বোয়াল, কারো ভাগে পুঁটি। মিলেমিশে যেন লুটপাট।


পরিবেশ আইন অনুযায়ী, কোনো প্রকল্প গ্রহণের আগে অবস্থানগত ও বাস্তবায়নের আগে পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু কোন কিছুই আমলে নিচ্ছে না ওয়াসা। ফলে উন্নয়ন হলেও দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না নগরবাসীর।


পরিবেশ অধিদফতর বলছেন, নগরীর নাসিরাবাদ এলাকায় বাতাসে বস্তুকণার পরিমাণ ছিল ২৪০ এসপিএম এবং ১৩০ মাইক্রোগ্রাম। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ছিল গেল বছরের নভেম্বরে। তখন নগরীতে প্রতি ঘনমিটার বাতাসে বস্তুকণার পরিমাণ ৩০৯ মাইক্রোগ্রাম ছিল।


নগরীর আমবাগান, কদমতলী, নিউমার্কেট, আগ্রাবাদ, বহদ্দারহাট, জামালখান মোড়সহ  সবকটি সড়ক এখন ধুলোময়। আর এসব দুষিত বাতাসে প্রতিনিয়ত বাড়ছে রোগবালাই, তাই অতিদ্রুত এই বায়ুদুষণ থেকে মুক্তির দাবি নগরবাসীর।


নগর পরিকল্পনাবিদ আসিক ইমরান বলেন, ‘মুলত অপরিকল্পিত নগরায়ন আর সেবা সংস্থাগুলোর দায়বদ্ধতার অভাবে নগরীতে বায়ুদুষণের সৃষ্টি হয়েছে ।;


চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজলুল্লাহ বলেন, ‘চট্টগ্রাম ওয়াসা সব সময় চেষ্টা করে পাইপলাইন স্থাপনসহ যে কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নে যাতে জনভোগান্তি কম হয়।’


চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ‘চট্টগ্রামে রাস্তা কাটার আগে ওয়াসাকে অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে এবং যথাযথ প্রাক্কলনের মাধ্যমে পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরদের সঙ্গে সমন্বয় করে রাস্তা কাটতে হবে।’ সাধারণ মানুষ গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অভিযোগ করেছেন, ‘আদৌও কী সমন্বয় হচ্ছে? সে প্রশ্ন নগরবাসীরও।’


বিবার্তা/জাহেদ/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com