দুর্গাপুরে ৩৫ সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ
প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:৩৩
দুর্গাপুরে ৩৫ সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ
দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ কোয়াটারে (সরকারি আবাসিক ভবনে) বিনা ভাড়ায় বসবাস করার অভিযোগ উঠেছে ইউএনও সহ ৩৫ সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে।


জানা যায়, উপজেলা পরিষদ ও অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অনিয়মতান্ত্রিক ও অবৈধভাবে উপজেলা পরিষদ কোয়ার্টারে (সরকারি আবাসিক ভবনে) বিনা ভাড়ায় বসবাস করছেন ৩৫ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যাংকার ও বেসরকারি শিক্ষকরাও বাদ যাননি।


সরেজমিনে গিয়ে প্রত্যক্ষ করা গেছে যে, নির্ধারিত ভবনে মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান ইউএনও, কর্মকর্তা ভবনে মো. আরিফুল ইসলাম এসিল্যান্ড,মাহবুবুর রহমান কৃষি অফিসার, গোলাম মোস্তফা মৎস্য অফিসার,মোঃ মেহের উল্লাহ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, আবু তাহের ভূইয়া প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, কর্মচারী কোয়াটার গুলিতে মোঃ শাহিন মিয়া কম্পিউটার অপারেটর ভূমি অফিস,সাকিব মিয়া ড্রাইভার ভূমি অফিস,জাকির মিয়া অফিস সহায়ক মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, মো. নাসির উদ্দিন একাডেমিক সুপারভাইজার,আঃ সালাম ব্যাংকার ও পাভীন আক্তার এমপিওভূক্ত হাইস্কুল শিক্ষক দম্পত্তি,হামিদা সুলতানা সরঃ প্রাঃ বিদ্যালয়, মোমেন মিয়া মাঠ সহকারী এলজিইডি,আঃ মোতালেব শামীম অফিস সহকারী ভূমি অফিস, নামীয় ব্যাক্তিরা যোগদানের পর থেকেই উপজেলা পরিষদ কোয়াটারের বিভিন্ন ভবনে বসবাস করছেন।


অপরদিকে সরকারি কর্মচারীগণের জন্য নির্মিত ডরমিটরিতে যারা বসবাস করছেন তারা হলেন ইউএনও অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুবল রঞ্জন কর,এলজিইডি অফিসের সহকারী হিসাব রক্ষক মো. আশিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী শহীদ মিয়া, এলজিইডি অফিসের ইলেট্রশিয়ান শাহীনুর আলম ও পিআইও অফিসের অফিস সহকারী আতিকুর রহমান। উপজেলা কৃষি অফিসের উপ সহকারী কর্মকর্তা নিয়াজুল, মোকলেছ উদ্দিন, মোতাহার হোসেন ও সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার স্বপন কুমার,ইউএনও অফিসের পিয়ন হাবীব, এলজিইডি অফিসের সুজন,প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের ফাহিম, নির্বাচন কমিশন অফিসের কম্পিউটার অপারেটর আজহার মিয়া,দুর্গাপুর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাজেদুর রহমান এবং এ ইউ আলিম মাদ্রাসার প্রভাষক আশরাফুল ইসলাম। 


উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বসবাসকারী ঐ সকল ব্যাক্তিদের বেতন-ভাতা থেকে কোন প্রকার বাড়ীভাড়া কর্তন করা হচ্ছেনা বা কোন প্রকার বরাদ্ধও নেননি তারা। অথচ তারা নির্বিগ্নে বিনা ভাড়ায় বসবাস করছেন ঐ সকল সরকারী ভবনগুলিতে। 


উপজেলা সরকারি বাসা বরাদ্ধ ও সংস্কার কমিটির সাধারণ সম্পাদক(উপজেলা প্রকৌশলী)মোঃ খোয়াজুর রহমান প্রতিবেদক’কে বলেন যাদের বাসাভাড়া ককেয়া আছে সেটি বিধি মোতাবেক পাওনা আদায় করা হবে,অন্যথায় সরকারী বিধি মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে, প্রয়োজনে বাসা খালি করার জন্য অতিসত্বর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবো।  


এক প্রশ্নের জবাবে হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা মাসুম খাঁন (অ. দা.) বলেন প্রতিবেদকের মাধ্যমে যাদের নাম উথ্যাপন করা হয়েছে তাদের মধ্যে খামার ব্যবস্থাপক ছাড়া অন্য কারো বেতন-ভাতা থেকে বাড়ি ভাড়া কর্তন করা হয় না বা কেউ বরাদ্ধ নেননি।


এ বিষয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা বাড়ি ভাড়া কমিটির ভাষ্য দেয়ার পর আমার ভাষ্য উপস্থাপন করবো।


বিবার্তা/রফিক/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com