শিরোনাম
ভারতের যে ৫ শহরে পরকীয়া সবচেয়ে বেশি
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০১৬, ১০:১৪
ভারতের যে ৫ শহরে পরকীয়া সবচেয়ে বেশি
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

দ্রুতগতিসম্পন্ন আধুনিক জীবনে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের হার প্রতিদিন বাড়ছে। পাশ্চাত্য জগতের অন্য অনেক কিছুর মতো এই ধারাও আজ ভারতকে প্রভাবিত করছে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়। তাহলে দেখে নেয়া যাক, ভারতের কোন পাঁচটি শহর পরকীয়ায় সবচেয়ে বেশি এগিয়ে।


চণ্ডীগড়: পরকীয়ায় সবচেয়ে এগিয়ে এই শহরের নবীনরা। ছেলেদের মধ্যে ৪৭ শতাংশ আর মেয়েদের ৪৩ শতাংশ প্রতি মুহূর্তে পরস্পরকে ঠকিয়ে চলেছেন। তবে ১৩ শতাংশ স্ত্রী-পুরুষ এখনো পুরনো সম্পর্কের প্রতি বিশ্বস্ত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে ৮ শতাংশ আবার সঙ্গী বা সঙ্গীনি সম্পর্ক বহির্ভূত ঘনিষ্ঠতা তৈরি করছেন বলে তাদের উচিত শিক্ষা দিতেই নাকি নিজেরাও পরকীয়ায় মজতে বাধ্য হয়েছেন। দেখা গেছে, সম্পর্কের মেয়াদ তিন বছরের বেশি গড়ালেই তার আকর্ষণ নষ্ট হচ্ছে। এতেই বাড়ছে হৃদয় পরিবর্তনের ঝোঁক।


দিল্লি: পরকীয়ায় পিছিয়ে নেই রাজধানীও। দিল্লির ৪৫ শতাংশ তরুণ এবং ৪৪ শতাংশ তরুণী তাদের পার্টনারদের ঠকাচ্ছেন। পরম্পরার তোয়াক্কা না করে তাদের সাফ কথা, এক্ষেত্রে নিজের ইচ্ছেই অগ্রাধিকার পাবে। আশ্চর্যের ব্যাপার, ২১ শতাংশ নারীপুরুষই সচেতন যে সঙ্গীরা তাদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। এমন ঘটনার কারণে বিবাহ-বিচ্ছেদের সংখ্যাও লাফিয়ে বাড়ছে। তবে দেখা গেছে, ২৫-৩৩ বছর বয়সীদের মধ্যে তুলনায় সম্পর্ক নিয়ে ছিনিমিনি খেলার হার কম।


গুয়াহাটি: দেশের অন্যতম দ্রুত বেড়ে চলা মহানগর দেশের উত্তর-পূর্বের প্রধান ফটক হিসেবে পরিচিত। ক্যারিয়ার গড়ার পাঠ নিতে বা চাকরিসূত্রে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি থেকে দলে দলে ছেলেমেয়ে এই শহরে আশ্রয় নেন। শহরের তরুণরা অনেকেই স্রেফ থ্রিল পাওয়ার জন্য পার্টনারকে ঠকিয়ে থাকেন। ৩৯ শতাংশ যুবক এবং ৩৩ শতাংশ যুবতী পরকীয়ার কথা স্বীকার করেছেন। মনোবিদদের ব্যাখ্যা, শিকড় উপড়ে ভিন শহরে বসবাস শুরু করলেও একাকীত্বে ভোগেন অনেকেই। সেই হতাশা কাটাতেই অনেক প্রেমে পড়ার ঘটনা ঘটে। আবারা সঙ্গীর সঙ্গে মনের মিল না হলে সঙ্গে সঙ্গে পথ পাল্টাতে দ্বিধা করেন না বেশির ভাগ তরুণ-তরুণী।


বেঙ্গালুরু: সম্পর্ক নিয়ে প্রতারণার তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে দেশের সিলিকন সিটি। উঠতি প্রযুক্তিবিদদের মধ্যে বাড়ছে ওয়ান নাইট স্ট্যান্ডের প্রবণতা। ৩৪ শতাংশ তরুণ এবং ২৯ শতাংশ তরুণী এই খেলায় মজেছেন বলে জানিয়েছেন। অ্যাশলে ম্যাডিসন-এর মতো পরকীয়া ওয়েবসাইটে দলে দলে নাম লেখাচ্ছেন শহরের নবীনরা। বেশির ভাগ সম্পর্কই তৈরি হচ্ছে অনলাইন সূত্রে। দেখা যাচ্ছে, বিশ বছরের মাঝামাঝি থেকে তিরিশের শেষ দিক পর্যন্ত সম্পর্কবহির্ভূত ঘনিষ্ঠতায় লিপ্ত হয়েছেন।


পুণে: তালিকার পাঁচ নম্বরে রয়েছে পুণে। এখানে ২৬ শতাংশ তরুণ এবং ২৪ শতাংশ তরুণী সঙ্গীকে ঠকানোর কথা স্বীকার করেছেন। তাদের যুক্তি, পুরনো প্রেমিক/প্রেমিকার চেয়ে অন্য কারো থেকে গভীরতর আহ্বান পেলে তা গ্রাহ্য করায় অন্যায় নেই। অনেকের মতে, পেশাগত জীবনের চাপ এবং পরিবারের থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলেই প্রচলিত মূল্যবোধে পরিবর্তন দেখা দিচ্ছে।


দেশের এই পাঁচ শহরের পরে পরকীয়া তালিকায় কাদের ঠাঁই হবে? মুম্বাই, কলকাতা, হায়দরাবাদ, ইন্দোর নাকি পাটনা? আসলে ক্যারিয়ার গড়ার ইঁদুর দৌড়ে সামিল হওয়ার ফলে পরস্পরকে সময় দিতে পারছেন না বেশির ভাগ যুগল। তার থেকে তৈরী হচ্ছে হীনমন্যতা এবং বিশ্বাসের অভাব। তার কারণেই বাড়ছে সম্পর্কে প্রতারণার হার।


বিবার্তা/জিয়া


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com