বিপদে-আপদে নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সেবা দিতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে চালু আছে জরুরি পরিষেবা নম্বর ৯১১। বাসিন্দারা দ্রুত সাহায্য পেতে সবার আগে এই নম্বরে ফোন দেন। উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের ১০ বছরের এক বালকও জরুরি সেবা পেতে ৯১১-এ ফোন দিয়েছিল।
তবে যে কারণে ওই বালক জরুরি পরিষেবা নম্বরে ফোন দিয়েছিল, তা কিন্তু মোটেও আর দশটা সাধারণ সমস্যার মতো ছিল না। তার সমস্যা ছিল ভিন্ন। স্কুল থেকে তাকে বাড়িতে গণিত অনুশীলন করতে বলেছে, দিয়েছে বাড়ির কাজ। কিন্তু কিছুতেই সে গণিত মেলাতে পারছে না। ‘নিরুপায়’ হয়ে সে ৯১১ নম্বরে ফোন করে সাহায্য চায়। ফোন করে অবশ্য নিরাশ হয়নি বালকটি।
তার ফোনে সাড়া দিয়ে শাওয়ানো কাউন্টি শেরিফের কার্যালয় থেকে তার বাড়িতে শেরিফের কার্যালয়ের একজন ডেপুটিকে পাঠানো হয়। শেরিফ কার্যালয় থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মজার এ কাণ্ডের কথা জানানো হয়েছে।
শেরিফ কার্যালয় থেকে বলা হয়, ‘আমাদের একজন ডিসপ্যাচার (যিনি ৯১১ এ ফোনে সাড়া দেন) একটি ফোনে সাড়া দিলে অপর প্রান্ত থেকে ১০ বছরের এক বালক গণিতের বাড়ির কাজ করতে সাহায্য প্রয়োজন বলে জানায়।’
ওই বালকের ফোনটি ধরেছিলেন ডিসপ্যাচার কিম ক্রাউস। তিনি বালককে বোঝানোর চেষ্টা করেন, বাড়ির পড়া জন্য সাহায্য চাইতে এটা সঠিক নম্বর নয়।
এ ঘটনা নিয়ে গুড মর্নিং আমেরিকার সঙ্গে কথা বলেন কাউন্টি শেরিফ জর্জ লেঞ্জনার। তিনি বলেন, তাঁর (ডিসপ্যাচার) হাতে কিছু সময় ছিল। তাই তিনি বলেন, ‘আমি কি তোমাকে এ বিষয়ে সাহায্য করতে পারি?’ তবে তিনি শেষ পর্যন্ত সাহায্য করতে পারেননি। কারণ, দশমিক যুক্ত কয়েকটি সংখ্যাসহ সে ফোনে তার লম্বা সমস্যার কথা জানায়। ডিসপ্যাচার বালককে বলেন, যদি সম্ভব হয় তিনি একজন ডেপুটিকে তার বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন।’
ডেপুটি শেরিফ চেজ ম্যাসন তখন সেই এলাকাতেই ছিলেন এবং তিনি গণিতের সমস্যাটি দেখতে রাজি হন।
ম্যাসনের নিজেরও ওই বালকের বয়সী একজন ছেলে (সৎ) আছে। তিনি বালকের সঙ্গে বসে তার গণিতের সমস্যাটি সমাধান করতে পেরেছিলেন।
শেরিফ কার্যালয় থেকে দেওয়া ফেসবুক পোস্টে আরও বলা হয়, ‘ছোট্ট ফোনদাতাকে বলেছি, তাকে সাহায্যের জন্য আমরা সব সময়ই আছি।’
তথ্যসূত্র: ইউপিআই
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]