যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের একটি গ্রন্থাগারে ঘটেছে বিচিত্র এক ঘটনা। পড়ার জন্য দেওয়া একটি বই দীর্ঘ ১১৯ বছর পর ফেরত পেয়েছে গ্রন্থাগারটি।
বইটির নাম ‘অ্যান এলিমেন্টারি ট্রিটিস অন ইলেকট্রিসিটি’। লিখেছেন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল। ১৯০৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বইটি ম্যাসাচুসেটসের নিউ বেডফোর্ড ফ্রি পাবলিক লাইব্রেরি থেকে পড়ার জন্য নেন এক ব্যক্তি। তবে আর ফেরত দেননি তিনি।
এরপর গড়িয়ে যায় ১১৯ বছর। সম্প্রতি ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া ইউনিভার্সিটি লাইব্রেরিতে জমা হওয়া অনুদানের বইগুলো সাজিয়ে রাখছিলেন গ্রন্থাগারটির কিউরেটর স্টুয়ার্ট প্লেইন। তখন জেমস ম্যাক্সওয়েলের লেখা বইটি তাঁর চোখে পড়ে। তিনি দেখতে পান, বইটি নিউ বেডফোর্ড লাইব্রেরি থেকে নেওয়া হলেও ফেরত দেওয়া হয়নি। এরপরই তিনি বইটি ফিরিয়ে দিতে নিউ বেডফোর্ড লাইব্রেরির সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
এত দিন পর বইটি ফেরত পেয়ে বেশ অবাক নিউ বেডফোর্ড লাইব্রেরির পরিচালক অলিভিয়া মেলো। গত শুক্রবার তিনি বলেন, তাঁর লাইব্রেরিতে ১০–১৫ বছর পর বই ফেরত এসেছে। তবে এই বইয়ের মতো ঘটনা আগে ঘটেনি। বইটি খুব ভালো অবস্থায় রয়েছে। যিনি বইটি নিয়েছিলেন, তিনি মনে হয় সেটি পরিপাটি করে তাকে সাজিয়ে রেখেছিলেন।
বইটি হাতে নিয়ে অলিভিয়া মেলো বলেন, ‘কাগজে ছাপা বইগুলো মূল্যবান, কারণ সেগুলো ডিজিটাল নয়। এগুলো হুট করে হারিয়ে যায় না। বইটি হাতে নিয়ে আপনার মনে হবে, ১২০ বছর আগেও বইটি কারও কাছে ছিল এবং তিনি এটি পড়ছিলেন। আর এখন বইটি আমার হতে রয়েছে।’
এদিকে নিউ বেডফোর্ড লাইব্রেরিতে একটি নিয়ম আছে। নির্দিষ্ট সময় পর কেউ বই ফেরত না দিলে প্রতিদিনের জন্য তাঁকে ৫ সেন্ট করে জরিমানা দিতে হয়। সে হিসাবে ১১৯ বছরের জরিমানা আসে ২ হাজার ১০০ ডলারের বেশি। তবে একটি ভালো খবর হলো, এই গ্রন্থাগারে কেউ বই ফেরত দিতে দেরি করলেও, তাঁকে ২ ডলারের বেশি জরিমানা দিতে হবে না।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]