দ্বাদশ বিশ্বকাপের পুরোটা জুড়েই ছিল প্রযুক্তিতে ঠাসা। কিন্তু তারপরও যে ভুল হয়নি এটা বলা যাবে না। এই তো ফাইনালে আম্পায়ারের ভুলে একজনের শিরোপা চলে গেলো আরেকজনের ঘরে। তবুও দিন শেষে একজন তো জিতবেই। এবার প্রযুক্তির আরো একধাপ ব্যবহার নিশ্চিত করতে নিয়ে আসা হচ্ছে ‘স্মার্ট বল’। বুঝতে পারলেন না? আসুন জেনে নেই স্মার্ট বলটা আবার কি?
এ বলটি দেখতে আর পাঁচটা ক্রিকেট বলের মতোই। কিন্তু খুললেই চমকে উঠতে হবে। সেই বলের পেটে থাকবে মাইক্রোচিপ। প্রযুক্তিগত দিক থেকে ক্রিকেটে কিছু না কিছু পরিবর্তন আসছে। আর এবার সেই আধুনিকতার ছোঁয়া পাচ্ছে ক্রিকেট বল। পেটে মাইক্রোচিপ নিয়ে আসছে নতুন ক্রিকেট বল। সাদা ও লাল বলের পরে এসেছে গোলাপী বল। দিন-রাতের টেস্টে গোলাপী বলে ম্যাচ দেখার সাক্ষী থেকেছেন দর্শকরা।
অস্ট্রেলিয়ার ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থা কুকাবুরা একটি নতুন বল আনতে চলেছে। সেই বলের পেটে থাকবে মাইক্রোচিপ। পরের মৌসুমে বিগ ব্যাশের ম্যাচে এই বলে খেলা হতে পারে। অদূর ভবিষ্যতে টেস্ট ক্রিকেটেও এই বল আনার পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি। আপাতত পেটে মাইক্রোচিপ লাগানো এই বল নিয়ে পরীক্ষা চলছে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরীক্ষা প্রায় শেষ। এবার মাঠে এই বল আনার অপেক্ষা! গতির বেশ কিছু পরিসংখ্যান দেবে এই বল। বল ছাড়ার সময়ের গতি, বাউন্স করার আগের গতি এবং বাউন্স করার পরের গতি, এই সমস্ত তথ্য পাওয়া যাবে। পেসারদের পাশাপাশি স্পিনারদের একই পয়েন্টের বিষয়গুলোও আরও নিখুঁতভাবে জানাতে পারবে।
প্রাথমিকভাবে এ বলের পরীক্ষা হয়েছে বিখ্যাত লর্ডস গ্রাউন্ডের ইনডোরের নেটে। চলতি অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের আগে এ বলে নেটে অনুশীলন করেছেন জস বাটলার। আর এতে বেশ সন্তুষ্ট ইংলিশ ব্যাটসম্যান। জানিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটেও এটির ব্যবহার দেখতে মুখিয়ে তিনি, ‘অবশ্যই, আমি এটিকে টেস্ট ক্রিকেটে দেখতে চাই। উন্নত পর্যায়ের কোচিংয়ে এটা হবে দারুণ সংযোজন। তাৎক্ষণিক তথ্য মেলাটা হবে চমৎকার এক ব্যাপার। দেখে মনে হচ্ছে, ক্রিকেটে ব্যবহার হওয়া সাধারণ বলের মতোই আচরণ হবে এই বলের।’
যদিও স্মার্ট বলের পরীক্ষা-নিরীক্ষাটা করা হয়েছে মূলত ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টির সাদা বলকে ঘিরেই। তবে টেস্টের লাল বলেও এটি একসময় ব্যবহার করা সম্ভব হবে বলছে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানটি।
আম্পায়ারদের দারুন সাহায্য করবে এই স্মার্ট বল। ডিআরএস-এর ক্ষেত্রে আম্পায়ারদের নিখুঁত সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে এই বল। এছাড়া এলবিডব্লিউ-এর ক্ষেত্রেও সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করবে এটি। সন্দেহজনক ক্যাচের ক্ষেত্রেও আম্পায়াররা সহায়তা পাবেন।
বিগ ব্যাশের পরীক্ষামূলক চালুর পর বিশ্বের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টুয়েন্টি লিগগুলো এই স্মার্ট বল ব্যবহারে আগ্রহী হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সেখানে পরীক্ষা সফল হলে এটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনের জন্য বিবেচনা করার চেষ্টা হবে। স্পোর্ট-কর নামের একটি প্রতিষ্ঠান কুকাবুরার সঙ্গে স্মার্ট বল নিয়ে কাজ করছে। যে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান অস্ট্রেলিয়ার সাবেক তারকা পেসার মাইকেল ক্যাসপ্রোভিচ।
বিবার্তা/শারমিন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]