শিরোনাম
ফাইনালে উঠতে ইংল্যান্ডের লক্ষ্য ২২৪ রান
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০১৯, ১৯:৩৪
ফাইনালে উঠতে ইংল্যান্ডের লক্ষ্য ২২৪ রান
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ইংল্যান্ড বোলারদের দাপটের দিনে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে গেলেন স্টিভেন স্মিথ। বিপদের সময় সাবেক এই অধিনায়ক খেলেছেন ৮৫ রানের কার্যকরী ইনিংস। তার হাফসেঞ্চুরির সঙ্গে অ্যালেক্স ক্যারির প্রতিরোধে অস্ট্রেলিয়া ৪৯ ওভারে অলআউট হয়েছে ২২৩ রানে।


ওকসের পেস ঝড়ে মাত্র ১৪ ‍রান তুললে অস্ট্রেলিয়া হারায় ৩ উইকেট। সেখান ‍থেকে শুরু স্মিথ-ক্যারির প্রতিরোধ। ‍চতুর্থ উইকেটে তাদের গড়া ১০৩ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু রশিদ এক ওভারে ক্যারি (৪৬) ও মার্কাস স্টোইনিসকে (০) ফেরালে আবার বিপদে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। সেটা ‍আরো বাড়ে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের (২২) বিদায়ে।


তবে বিপদের মুহূর্তে একপ্রান্ত আগলে রেখে অসাধারণ এক ইনিংস খেলে গেছেন স্মিথ। ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে পূরণ করেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৩তম হাফসেঞ্চুরি। যোগ্য সঙ্গ পেয়েছেন মিচেল স্টার্কের কাছ থেকে। অষ্টম উইকেটে গড়েন তারা ৫১ রানের জুটি। যাতে আরেকটু ভালো সংগ্রহের সম্ভাবনা তৈরি হয়। কিন্তু জস বাটলারের অসাধারণ থ্রো তা হতে দেয়নি!


ইংলিশ উইকেটরক্ষকের সরাসরি থ্রোতে রান আউট হয়ে ফিরতে হয় স্মিথকে। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ১১৯ বলে করে যান ৮৫ রান। ধৈর্যশীল ইনিংসটি তিনি সাজান ৬ বাউন্ডারিতে। তার আউটের পরের বলেই ওকসের শিকার হয়ে ফিরে যান ২৯ রান করা স্টার্ক। এরপর মার্ক উড শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে জেসন বেহরেনডর্ফকে তুলে নিলে অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। নাথান লায়ন অপরাজিত থাকেন ৫ রানে।


ইংল্যান্ডের সবচেয়ে সফল বোলার ওকস। এই পেসার ৮ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে পেয়েছেন ৩ উইকেট। তার মতো ৩ উইকেট পেয়েছেন স্পিনার রশিদও। ৩২ রান দিয়ে জোফরা আর্চারের শিকার ২ উইকেট।


আবারো আঘাত আদিল রশিদের। দারুণ বোলিংয়ে এবার তার শিকার প্যাট কামিন্স। শুরু থেকেই পরীক্ষা দেওয়া অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান ফিরে গেছেন ৬ রানে।


এক ওভারে অ্যালেক্স ক্যারি ও মার্কাস স্টোইনিসকে ফিরিয়ে ম্যাচ আবার ইংল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণে এনে দেন রশিদ। সেই ধারায় পেয়ে গেলেন ম্যাচে নিজের তৃতীয় উইকেট। তার বাঁক খাওয়া বল স্লিপে সহজেই তালুবন্দী করেন জো রুট।


শুরুটা মন্দ ছিল না গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের। ঠাণ্ডা মাথার ব্যাটিংয়ের সঙ্গে সুযোগ বুঝে শটও খেলছিলেন তিনি। কিন্তু জোফরা আর্চারের স্লোয়ার ঠিক বুঝে উঠতে পারলেন না। সহজ ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন তিনি।


তার বিদায়ে বিপদ আরও বেড়েছে অস্ট্রেলিয়ার। শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে অ্যালেক্স ক্যারি ও মার্কাস স্টোইনিসের আউটে নতুন করে যে আঘাত লেগেছিল, তা কাটিয়ে ওঠার ইঙ্গিত ছিল স্টিভেন স্মিথ ও ম্যাক্সওয়েলের ব্যাটে। যদিও শর্ট কাভারে এউইন মরগানের হাত সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ম্যাক্সওয়েল। ২৩ বলে করে যান তিনি ২২ রান।


বল এসে সরাসরি আঘাত করেছিল তার থুতনিতে। রক্তও ঝরল। এরপরও হার মানলেন অ্যালেক্স ক্যারি। মুখে ব্যান্ডেজ করে লড়াই চালিয়ে দলকে বিপদমুক্ত করার পর হাঁটছিলেন হাফসেঞ্চুরির পথে। কিন্তু মাইলফলকটা ছোঁয়া হলো না তার। ৪৬ রানে আউট হয়ে গেছেন তিনি।


তাকে ফেরানো আদিল রশিদ একই ওভারে আউট করেছেন মার্কাস স্টোইনিসকে। এই স্পিনারের জোড়া আঘাতে আবার এলোমেলো অস্ট্রেলিয়া।


স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে ১০৩ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছিলেন ক্যারি। কিন্তু রশিদের বলে জেমস ভিন্সের হাতে ধরা পড়ে শেষ হয় তার প্রতিরোধ। ৭০ বলের ইনিংসটি তিনি সাজান ৪ বাউন্ডারিতে। তার আউটের কয়েক বল পরই রানের খাতা খোলার আগে স্টোইনিস ফিরে গেলে বড় ধাক্কা খায় অস্ট্রেলিয়া।


১৪ রানে ৩ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়া ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে অ্যালেক্স ক্যারি মিলে প্রতিরোধ গড়েছেন ইংলিশ বোলারদের সামনে। তাদের ব্যাটে শুরুর ধাক্কা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে অস্ট্রেলিয়া। ইতিমধ্যে ১০০ রানের জুটি গড়েছেন স্মিথ-ক্যারি।


প্রথম ওভারে ৪ রান দেন ক্রিস ওকস। দ্বিতীয় ওভারে ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেট। এরপর ডানহাতি পেসার তার দ্বিতীয় উইকেট পেলেন পিটার হ্যান্ডসকম্বকে ফিরিয়ে। তার গতিময় বোলিংয়ে মাত্র ১৪ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ওকসের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে হ্যান্ডসকম্ব বোল্ড হন ১২ বলে ৪ রান করে।


মাত্র ১০ রানে দুই ওপেনারকে হারালো অস্ট্রেলিয়া। ক্রিস ওকসের প্রথম ওভারে ৪ রান করার পরই হোঁচট খেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে উইকেট হারিয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। জোফরা আর্চারের বলে এলবিডাব্লিউ হন অ্যারন ফিঞ্চ। আম্পায়ারের আউটের সিদ্ধান্তে রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি অজি অধিনায়ক। প্রথম বলে রানের খাতা না খুলে বিদায় নেন তিনি। এরপর ওকসের শিকার হন ডেভিড ওয়ার্নার। জনি বেয়ারস্টোকে ক্যাচ দিয়ে ১১ বলে ৯ রান করে আউট হন তিনি।


ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে কে? এই প্রশ্নের উত্তর জানা যাবে আর কয়েক ঘণ্টা পরই। বার্মিংহামের এজবাস্টনে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছে অজিরা।


১৯৯২ সালের পর থেকে কখনও নকআউটের গেরো কাটাতে পারেনি ইংল্যান্ড। ২৭ বছর পর তারা উঠেছে সেমিফাইনালে। এবার সেই ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে ফাইনালে যাওয়ার পথ খুঁজছে স্বাগতিকরা।


অস্ট্রেলিয়ার একাদশে একটি পরিবর্তন এসেছে। ইনজুরিতে উসমান খাজা নেই, তার জায়গায় ঢুকেছেন পিটার হ্যান্ডসকম্ব।


ইংল্যান্ড একাদশ: এউইন মরগান (অধিনায়ক), জেসন রয়, জনি বেয়ারস্টো, জো রুট, বেন স্টোকস, জস বাটলার (উইকেটরক্ষক), ক্রিস ওকস, লিয়াম প্লাঙ্কেট, আদিল রশিদ, জোফরা আর্চার, মার্ক উড।


অস্ট্রেলিয়া একাদশ: অ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথ, পিটার হ্যান্ডসকম্ব, মার্কাস স্টোইনিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, অ্যালেক্স ক্যারি (উইকেটরক্ষক), প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, নাথান লায়ন, জেসন বেহরেনডর্ফ।


বিবার্তা/জহির


>>ইংল্যান্ডের বোলিং তোপে ব্যাটিং বিপর্যয়ে অস্ট্রেলিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com