বিপিএল: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৫ উইকেটে হারাল দুরন্ত ঢাকা
প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:১৬
বিপিএল: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৫ উইকেটে হারাল দুরন্ত ঢাকা
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দেওয়া ১৪৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে দলীয় শত রান পার করার পর খেই হারিয়েছে ঢাকা। দ্রুত উইকেট তুলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করেছে ভিক্টোরিয়ান্স বোলাররা। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের সেই চেষ্টা পণ্ড করে দিয়েছেন ঢাকার ইরফার শুক্কুর। দলকে জিতিয়েছেন ৩ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে।


শুরুতে ঝোড়ো ব্যাট করে দুর্দান্ত ঢাকা। নাঈম শেখের হাফসেঞ্চুরিতে ১৩ ওভারের মধ্যেই একশর বৈতরণী পার করে ফেলে তারা। যদিও শেষ দিকে গিয়ে ম্যাচ কঠিন হয়ে যায়। শেষ ৭ বলে দরকার হয় ১০ রান। ইরফান শুক্কুর ছক্কা মেরে ম্যাচ বের করে দেন ঢাকাকে।


১৯ জানুয়ারি, শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ৫ উইকেটে জিতেছে ঢাকা। জবাব দিতে নেমে ৩ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায় তারা।


রান তাড়া করতে নেমে শুরুর দিকে ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ঢাকার ওপেনার নাঈম শেখ। তবে শেষের দিকে গিয়ে ব্যাটে ধার হারিয়ে ফেলেন তিনি। হাফসেঞ্চুরির পর ৪০ বলে ৫২ রান করে আউট হন এ ওপেনার। ততক্ষণে দলীয় রান একশ পার হয়ে যায় ঢাকার। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও সমানসংখ্যক ছয়ের মার।


নাঈম আউট হলে স্কোর বোর্ডে আর ৫ রান যোগ হওয়ার পর বিদায় নেন আরেক ওপেনার দানুস্কা গুনাথিলাকা। ৪২ বলে তিনি করেন ৪১ রান। লাসিথ ক্রুসপুলে করেন ৫ রান। সাইফ হাসান করেন ৭ রান। ঢাল হয়ে ছিলেন ইরফান। শেষ বলে ১০ রান দরকার হলে ছক্কা মেরে ঢাকাকে জয়ের দৌড়ে এগিয়ে দেন তিনি। ১৬ বলে ২৪ রান করে আউট হন এ ব্যাটার । ফলে আবারও জমে উঠে ম্যাচ।


শেষ ওভারে ছক্কা মেরে দলের জয় নিশ্চিত করে চতুরাঙ্গা ডি সিলভা। কুমিল্লার হয়ে ২টি করে উইকেট নেন তানভির ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান। খুশদিল শাহ নেন এক উইকেট।


এর আগে শরিফুলের হ্যাটট্রিকে ১৪৩ রানে থামে কুমিল্লার ইনিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন সাবেক অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে ৪৭ রান। হ্যাটট্রিক ওভারে শরিফুল নেন খুশদিল শাহ, রোস্টন চেজ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের উইকেট।


টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২৩ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় কুমিল্লা। স্থায়ী অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারেননি লিটন কুমার দাস। ১৬ বলে মাত্র ১৩ রান করে চতুরাঙ্গা ডি সিলভার বলে ক্যাচ আউট হন তিনি। এরপর ইমরুল কায়েস ও ওয়ানডাউনে নামা তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে এগোতে থাকে কুমিল্লার রানের চাকা।


ইমরুল ও তাওহীদ দুজনই খেলতে থাকেন কিছুটা রক্ষণাত্মক ঢংয়ে। এরমধ্যে প্রথম জন একবার জীবন পান, তার ক্যাচ ছাড়েন ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। জীবন পেয়ে ৪২ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। বিপিএল ক্যারিয়ারে এটি তার দশম ফিফটি।


মিরপুরের মন্থর উইকেটে ১৫ ওভারে দলীয় ১০০ রান পূর্ণ হয় কুমিল্লার। তারপরও ধীরগতিতেই খেলতে থাকেন ইমরুল ও হৃদয়। আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে উইকেট হারান হৃদয়। তাসকিনের ওয়াইড লেন্থের বলে সজোরে ব্যাট চালাতে গিয়ে ক্রুসপুলেকে ক্যাচ দেন তিনি। ৪১ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৭ রান। একই ওভারে বিদায় নেন কুমিল্লার সর্বোচ্চ সংগ্রাহক ইমরুল। সীমানার কাছে শরিফুল ইসলামের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৫৬ বলের ইনিংসে ৬টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান তিনি।


২০তম ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে খুশদিলের কাছে ছক্কা হজম করেন শরিফুল। পরের বলেই পাকিস্তানি ব্যাটারকে সাজঘরে পাঠান এ পেসার। পরের দুই বলেও উইকেট শিকার করেন তিনি।


বিবার্তা/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com