অনেকদিন ধরেই মঙ্গলগ্রহে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করছেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা। এ মুহূর্তে মঙ্গলের পৃষ্ঠ বাসযোগ্য নয়। গ্রহটির আবহাওয়া খুব ঠান্ডা ও নিয়মিতই এতে মারাত্মক অতিবেগুনি রশ্মির বিস্ফোরণ ঘটে। এ ছাড়া এর মাটি লবণাক্ত, বাতাসের ঘনত্ব কম এমনকি এখন পর্যন্ত সেখানে প্রাণের অস্তিত্বের প্রমাণও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে পানি পাওয়ার পর নতুন করে আশা জাগতে শুরু করেছে। ২০১৮ সালে পাঠানো রোভারটি মঙ্গলের ভূকম্পন ডাটা থেকে তরল পানির সন্ধান পেয়েছে। এর আগে মেরু অঞ্চলে বরফ আকারে পানি থাকার প্রমাণ মিলেছিল। জলীয়বাষ্পের উপস্থিতিও নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে এই প্রথম তরল পানির সন্ধান মিলেছে। এক-দুই ফোটা নয় বরং বিশাল মহাসাগর পরিমাণ জলের আধার রয়েছে মঙ্গলগ্রহে। এমনটাই বলছেন মার্কিন গবেষকরা।
এক প্রতিবেদনে বিস্ময়কর এ তথ্য প্রকাশ করেছে, মার্কিন সংস্থা- ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলপৃষ্ঠের সাড়ে ১১ থেকে ২০ কিলোমিটারের গভীরে রয়েছে বিশাল এই জলাধার। লুকিয়ে আছে ভূগর্ভস্থ শিলার ফাটলে। যা, জমা হয় বিলিয়ন বছর পূর্বে। সুবিশাল এই পানির স্তরে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা প্রবল, এমনটাই দাবি বিজ্ঞানীদের।
ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার সহকারী অধ্যাপক ভাসান রাইট বলেন, মঙ্গলগ্রহে পানির অস্তিত্ব পাওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, পানি গ্রহের বিবর্তনের সবকিছুকে প্রভাবিত করে। আমরা জানি যে, জীবন ধারণের জন্য একটি মূল উপাদান পানি। যার মানে হলো সেখানে বসবাসের উপযোগী পরিবেশ থাকতে পারে।
এর আগে, লাল গ্রহটিতে জমে থাকা পানির সন্ধান মিললেও এবারই প্রথম তরল পানির খবর পাওয়া গেলো। মঙ্গলগ্রহের যে বিরান-রুক্ষ পৃষ্ঠের সাথে আজ বিশ্ব পরিচিত; ঠিক৩শ’ কোটি বছর আগে তেমন ছিল না এটি। তখন দেখতে অনেকটাই পৃথিবীর মতো ছিল গ্রহটি। ছিল নদী, হৃদ খুব সম্ভবত সমুদ্রও। যা শুকিয়ে গেছে।
এ প্রসঙ্গে ভাসান রাইট বলেন, প্রায় ৩ বিলিয়ন বছর আগে অনেকটাই পৃথিবীর মতোই ছিল মঙ্গলগ্রহ। কিন্তু এখন সেটি নেই। এখন গ্রহটি শুকনো। তাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, পানি কোথায়? সেগুলো কোথায় গেলো? এজন্যই এই গবেষণা।
বিবার্তা/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]