
বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন হ্যাকিং একটা গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হ্যাকাররা নানাভাবে ফোন হ্যাক করছে। তবে কিছুটা আপনার অসাবধানতার কারণে হয়। আর সেই সুযোগেরই সদ্ব্যবহার করে প্রতারকরা।
এতে ফোনে থাকা ব্যক্তিগত তথ্য, ভিডিও, ফটো সবকিছুই অ্যাক্সেস পায়। কিন্তু কেন এমন হয়?
বেশিরভাগ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরাই এ সম্পর্কে জানেন না। ফলে প্রতিদিন এমন কিছু ভুল করে বসে, যাতে খুব সহজেই ফোন হ্যাক করে ফেলতে পারে প্রতারকরা।
দুর্বল বা সহজেই অনুমান করা যায়, এমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা (যেমন জন্ম তারিখ, নাম) উচিত নয়। একাধিক অ্যাকাউন্টের জন্য একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না।
প্রতারণামূলক ই-মেইল, বার্তা বা লিংকগুলোতে ক্লিক করা যা ব্যাংক, সরকারি সংস্থা বা অন্যান্য বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানের বলে দাবি করে। এই লিংকগুলোতে ক্লিক করে ব্যক্তিগত তথ্য বা ব্যাংকিং বিবরণ ভুলেও লিখবেন না।
তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ স্টোর বা অপরিচিত উৎস থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না। এই অ্যাপগুলো থেকেই বেশিরভাগ হ্যাকিং হয়। ফলে সেই অ্যাপ ব্যবহার করেই হ্যাকাররা ক্যামেরা, মাইক্রোফোন বা এসএমএস অ্যাক্সেস করে।
অনিরাপদ বা পাবলিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের সঙ্গে নিজের ফোনটিকে কানেক্ট করবেন না। এতে এমন কিছু ভাইরাস থাকে, যা আপনার ফোনটিকে দুর্বল করে দেয়। ফলে খুব সহজেই হ্যাক করে ফেলতে পারে প্রতারকরা।
অপারেটিং সিস্টেম এবং অ্যাপ আপডেট না করা। অনেকেই আপডেটের নোটিফিকেশন দেখেও ফোনটিকে আপডেট করেন না। ফলে ফোনটি হ্যাক করা প্রতারকদের কাছে খুব সহজ হয়ে যায়। আপনার অপারেটিং সিস্টেম এবং অ্যাপস নিয়মিত আপডেট করুন। এতে অনেক সিকিওরিটি আপডেট থাকে, যা আপনি ফোন আপডেট করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার ফোনটিকে নিরাপদ রাখে।
আপনি অ্যান্টি-ভাইরাস এবং অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার সফটওয়্যার ব্যবহার করে আপনার ফোনকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন। যদি আপনার কোনো সন্দেহ থাকে, তাহলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]